দীর্ঘদিন ডিপ্রেশনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি

দেশের জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী সাফা কবির। বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এখন টিভি নাটকেই নিয়মিত কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ এবং ওয়েব ফিল্মেও দেখা যায় তাকে। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

কিছুদিন আগে আমার অভিনীত একটি নাটক প্রকাশ পেয়েছে। নাম ‘বেড নম্বর ৩’। এটি ভিকি জাহেদ ভাই পরিচালনা করেছেন। এতে আমি ডা. মাহা নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটি একজন অবসাদগ্রস্ত মানুষের। নাটকটি প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের বেশ ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এ চরিত্রটা আমার কাছে একটু হলেও বিশেষ। তাই এর জন্য এমন রেসপন্স, আমাকে ভালো কাজ করার জন্য আরও মোটিভেট করছে। মনে হচ্ছে আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে।

ডা. মাহার চরিত্র বিশেষ হওয়ার পেছনে কারণ কী?

আমি নিজেই একটা সময় অবসাদগ্রস্ত ছিলাম। দীর্ঘদিন ডিপ্রেশন, এঞ্জাইটির সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। ডাক্তার দেখিয়েছি। তাই এ চরিত্র করার সময় আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি মাহার স্ট্রাগল কী ছিলো, সমস্যা বা ভয় কী ছিল! সবচেয়ে বড় বিষয়, এর আগে এমন চরিত্রে কাজ করিনি। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের উচিত আরও কাজ করা। আমি সবসময় এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছি। এমনকি এ নাটকটি করার পরেও দেখলাম অনেকেই এখন এটা নিয়ে আলোচনা করছে। তাই দুইদিক থেকে আমার ভালোলাগা কাজ করছে।

এখন সব মনোযোগ কী বিশেষ নাটক বা ওটিটি ঘিরেই?

আমার মনোযোগ বরাবরই গল্প ঘিরে ছিল। আমি সবসময় ভালো আর ভিন্নধর্মী গল্প, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছি। তবে তার মানে এই নয় যে, শুধু এমন থ্রিলার বা সিরিয়াস গল্পে কাজ করব। রোমান্টিক গল্প আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি সবচেয়ে বেশি রোমান্টিক কাজ করতে চাই। আর গল্প হতে হবে সহজ, যেন মানুষ কানেক্ট করতে পারে। আমাদের দেশের অনেক নির্মাতা আছেন যারা এ ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করেন। যেমন, মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাই, ভিকি জাহেদ ভাই। তাই উনারা কোনো কাজ নিয়ে আসলে আমি গল্প নিয়ে খুব এক্সাইটেড থাকি। তবে হ্যাঁ, টিভি ধারাবাহিকে ফেরার ইচ্ছা আর সময় কোনোটাই এখন আমার নেই। 

আপনার সমসাময়িক অনেকেই এখন সিনেমায় অভিনয় করছেন। আপনাকে কবে দেখা যাবে?

বলতে পারছি না। আমিও অপেক্ষা করছি কবে আমাকে বড় পর্দায় দেখা যাবে। আসলে ভালো গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রথম সিনেমা বলে কথা। হুট করে যেকোনো একটা কিছু তো করতে পারি না। আর আমার সমসসাময়িক কিংবা সিনিয়র অনেকেই সিনেমা করছে। কেউ কেউ কলকাতার সিনেমাও করছে। আমার কাছেও কলকাতার সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমি সব সময় চেয়েছি আমার প্রথম সিনেমা যেন বাংলাদেশের হয়। তাই হয়তো কিছুটা দেরি হচ্ছে।

এখন তো অল্পতেই তারকারা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?

আমি আসলে এ বিষয়টা মজার ছলে গ্রহণ করি। কারণ আমি বা আমার কাছের মানুষ জানে আমি কেমন। তাই খুব একটা মাথা ঘামাই না এইসব ভাইরাল বা ট্রল হওয়া নিয়ে। তবে বাকিদের চেয়ে আমার কমই হয়। কারণ আমি খুব বোরিং একটা মানুষ। আমার বন্ধুরা আমাকে ভেজিটেবল বা সবজি বলে ডাকে। আমার শুটিং না থাকলে আমি বাসায় থাকি, ভাত খাই। 

তাহলে কি করে পাবে আমাকে নিয়ে কন্টেন্ট? তবে কিছুদিন আগে একবার খবর রটেছিল যে আমি মরে গেছি! সেটা দেখে যেমন মজা পেয়েছিলাম, এমনকি অবাকও হয়েছিলাম।

LEAVE A REPLY