ভারত বিপক্ষে পাকিস্তানের খেলা মানে ক্রিকেটের দুনিয়াতে সবচেয়ে উত্তেজনাকর লড়াই বলে ধরে নেওয়া যায়। দুই দলের ক্রিকেটিয় লড়াইয়ে ভারতের চেয়ে বেশ অনেকটাই এগিয়ে পাকিস্তান। ভারতের ৫৬ ম্যাচের বিপরীতে ৭৩ বার জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। তবে বিশ্বকাপে চিত্র পুরোপুরি উল্টো।
এ পর্যন্ত ৭ বার বিশ্বকাপে মুখো মুখি হয়েছে এ দুই দল। তাতে সবসময়ই জয়ী হয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চিত্রটা এমনই ছিল। তবে ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন অধিনায়ক বাবর আজম। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপেও সেই বাবরের নেতৃত্বেই মাঠে নামতে যাচ্ছে পাকিস্তান। প্রশ্ন উঠেছে এবার কি পারবেন বাবর?
ম্যাচ নিয়ে বাবর অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন। রেকর্ড ভাঙার কথাই শোনা গেল পাকিস্তানি অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘আমি অতীতের দিকে তাকাতে চাই না। আমরা চেষ্টা করব সামনে দৃষ্টি দিতে। রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য, আমরা সেটাই চেষ্টা করব। আমরা ভাবছি কাল কীভাবে ভালো পারফরম্যান্স করা যায়। আমি বিশ্বাস করি আমরা দল হিসেবে গত দুই ম্যাচ ভালো করেছি এবং একইভাবে সামনের ম্যাচে ভালো করতে চাই।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলের থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে মোহাম্মদ নাওয়াজ ছাড়া আর কারো ভারতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম ভারতে পা রেখেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে তাই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
সেই প্রসঙ্গেও উঠেছে কথা। তবে বাবর বলেন, ‘হায়দরাবাদে আমরা প্রায় দেড় সপ্তাহের মতো কাটিয়েছি। এখন আমরা এখানে। আমরা এটা বুঝতে পেরেছি প্রতিটি সফর আলাদা, কন্ডিশনও আলাদা। কোথাও টার্নিং উইকেট, কোথাও ব্যাটিং সহায়ক, কোথাও আবার পেসারদের জন্য। তো নির্দিষ্ট মাঠের উইকেট কেমন হবে সেভাবে নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক করব।’
তবে আহমেদাবাদের বিগ ম্যাচের আগে চাপে নেই বলে জানিয়েছেন বাবর। অবশ্য, টিকিট চেয়ে প্রচুর ফোনকল পাচ্ছেন, সেই কথাও বললেন তিনি, ‘আমি এমন কোনো কল পাইনি। কিন্তু হ্যাঁ, আমি টিকিটের জন্য অনেক ফোন পেয়েছি। মানুষ আমাকে টিকিটের জন্য ফোন দিচ্ছে। আমরা ফলাফলের কথা চিন্তা করে এখনই কোনো চাপ নিচ্ছি না।’