শিশুর বমির যত কারণ, সতর্ক হবেন যখন

জীবনের প্রথম সপ্তাহ বা মাসগুলোতে বমি শিশু বয়সের সচরাচর ঘটনা। সামান্য বদহজম থেকে শুরু করে গাড়িতে ভ্রমণসহ যেকোনো কারণে শিশু বমি করতে পারে, এমনকি দীর্ঘক্ষণ কান্না বা কাশিও বমির উদ্রেক ঘটায়, তাকে অসুস্থ করে তোলে।

বমির যত কারণ

–  বমির একটা ধাক্কা ছয় থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাতে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে সে যাতে পানিস্বল্পতায় না ভোগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আর ঘন ঘন বমি হতে থাকলে শিশু ঠিকঠাক বেড়ে উঠছে কি না, বিশেষ করে তার ওজন কমেছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

–  জীবনের প্রথম কয়েক মাস বয়সে শিশুর পাকস্থলী ছোট থাকে। সুতরাং খাবারের পরিমাণে সামান্য কমবেশি হলে সে বমি করে দেয়। এর পরে বমির কারণ হলো অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, এতে ডায়রিয়াও থাকে।

অন্য যেসব কারণে শিশু বমি করে :

– ঠাণ্ডা, সর্দি

– প্রস্রাবে ইনফেকশন

– কানপাকা অসুখ

– অ্যালার্জি

কখনো বমির আড়ালে মারাত্মক অসুখ লুকিয়ে থাকে। বিশেষত এসব চিহ্ন দেখলে সতর্ক হতে হবে :

– জ্বর

– চরম পানিস্বল্পতা

– বুকের দুধ পান করে না বা পানি পানে অপারগতা

– ত্বকে র‌্যাশ

– ঘুমভাব বা বেশি খিটখিটে

– মাথার চাঁদি ফুলে যাওয়া

– শ্বাসকষ্ট

– পেট ফোলা

– খিঁচুনি

– বমিতে রক্ত বা পিত্তরস

– খাওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে বেশ জোরে বমি করা

যে ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন

জোরে বমি হলে খাদ্যনালির রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে বমির সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে। আবার মুখগহ্বরে রক্তপাত হলে কিংবা নাক থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে রক্তপাত ঘটলে শিশু তা খেয়ে ফেলতে পারে। এসব থেকেও বমির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।

প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা

– বুকের দুধ পান চালিয়ে যাওয়া

– তরল খাবার ও পানীয় পান করানো

– প্রতি ঘণ্টায় কয়েকবার স্যালাইন খাওয়ানো

– বমি বন্ধ হলে আগের স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যাওয়া

LEAVE A REPLY