হাভিয়ের কাবরেরা।
হাভিয়ের কাবরেরা বলেছিলেন, গত দুই বছরের মধ্যে মালদ্বীপের বিপক্ষে এই বিশ্বকাপ বাছাই প্লে অফই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আবার এটাও বলেছিলেন, গত দুই বছরে নিজেদের সবচেয়ে সেরা অবস্থানে থেকেই এই ম্যাচটা তাঁরা খেলতে যাচ্ছেন। তাই চ্যালেঞ্জটা ছিল নিজেদের প্রমাণের।
আজ সেই লড়াই উতরে বাংলাদেশ কোচের যেন মুক্তির আনন্দ, ‘খুবই ভালো লাগছে, মুক্তির স্বাদও আছে।
আমরা জানতাম ম্যাচটি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এর পেছনে অনেক পরিশ্রম আছে, এবং যদি আজ আমরা জিততে না পারতাম, তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা হতো।’ সেই সমস্যা ডিঙাতে পারার স্বস্তিই এখন তাঁর কণ্ঠে, ‘শেষ ছয়-সাত মাসে আমরা যে উন্নতি করেছি…যদি আমরা বাছাইয়ের পরের ধাপের ম্যাচগুলো খেলার সুযোগ মিস করতাম, এশিয়ান কাপ মিস করতাম, তাহলে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ত। তাই অবশ্যই স্বস্তি অনুভব করছি।
’
ম্যাচটাতে যেমন লড়াই আশা করেছিলেন তিনি সেটাই হয়েছে, সেই চাপ সামলে বাংলাদেশের জয়টাও আনন্দ দিচ্ছে তাঁকে, ‘হাড্ডাহাড্ডি (সুপার হার্ড) লড়াই হয়েছে। শক্তিশালী একটা দলের বিপক্ষে খুবই আঁটসাঁট একটা ম্যাচ হলো। মানসম্পন্ন ফুটবল খেললাম আমরা, বিশেষ করে মাঝমাঠে ও আক্রমণভাগে। আগেই বলেছিলাম, যেকোনো সময়ের চেয়ে নিজেদের মধ্যে থাকতে হবে আমাদের এবং আমরা কী করতে সমর্থ।
আমাদের শুরুটাও ভালো ছিল। কিন্তু মালদ্বীপের সামর্থ্য আছে, ভুল করলে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, সেটা দিয়েছেও। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের আত্মবিশ্বাসী থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছেলেরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে, লড়াকু ফুটবল খেলেছে। পরস্পরকে সহযোগিতা করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে।
সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ইতিবাচক ফল এসেছে।’
মাঝখানে সোহেল রানার অহেতুক ফাউলে বাংলাদেশের এই জয়টাই পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে। জয়ের দিনে শেষ পর্যন্ত সেই সোহেলকেও তিনি আগলেছেন, ‘ম্যাচে এমনটা হতে পারে। সোহেলের খেলার ধরনটা এমন যে ও নিজেকে শতভাগ ঢেলে দেয়। তাতে ম্যাচে পরিস্থিতিতে এমনটা হতে পারে।’