আগামী শুক্রবার সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলেন, গত সোমবার মৌসুমি বায়ু দেশ থেকে পুরোপুরি বিদায় নেওয়ায় বৃষ্টিপাতের মৌসুমের ইতি ঘটেছে।
আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শীতের আগমন ঘটতে পারে। এর আগে মাঝের এই সময়টাতে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তাপমাত্রা কখনো কিছুটা কমতে পারে, কখনো থাকতে পারে অপরিবর্তিত।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারতে পারে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী দুই দিনও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) আবহাওয়ার একই পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে শুক্রবারের পর থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লঘুচাপের একটা বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
এটি এখনো লঘুচাপ হয়নি। ফলে দেশের ওপর এর কোনো প্রভাবও নেই এই মুহূর্তে। তবে ২০ তারিখের (শুক্রবার) দিকে সাগরে একটা লঘুচাপ তৈরি হতে। লঘুচাপ তৈরি হলে এরপর বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
বজলুর রশিদ জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শীতের আগমন ঘটতে পারে।
চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপমাত্রা মাঝেমধ্যে কমতে পারে বা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে লঘুচাপ হলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে শুধু ঢাকা স্টেশনেই বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল সাত মিলিমিটার। দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টি না হলেও ঢাকার কোনো কোনো জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘কোনো কারণে স্থানীয়ভাবে মেঘ হয়ে ঢাকায় এই বৃষ্টি হয়েছে।’
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।