পায়ে আঘাত পেয়ে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ছবি : এএফপি
গতকাল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে পায়ে আঘাত পেয়ে যেভাবে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন নেইমার তখনই আঁচ করা গিয়েছিল চোট বেশ গুরুতর। ২৪ ঘণ্টা পর স্ক্যান রিপোর্টে সেটাই জানা গেছে। হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় আবারও ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হচ্ছে ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন।
বিবৃতিতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এডনাল্ডো রদ্রিগ্রেজ বলেছেন, ‘ব্রাজিল ও বিশ্ব ফুটবলের জন্য নেইমারের সুস্থতা এবং রিকভারি প্রয়োজন। কারণ যখন সে মাঠে থাকে ফুটবল আরো সুন্দর হয়। তাঁকে অস্ত্রোপচার করা হবে। তবে এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।
‘
ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রোপচারের পর নেইমারের সেরে উঠতে প্রায় সাত-আট মাস সময় লাগবে। এতে আগামী বছর কোপা আমেরিকায় খেলা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। ২০২৪ সালের ২০ জুন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট।
হাঁটুর স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমার লিখেছেন, ‘এটা খুবই হতাশার মুহূর্ত, খুবই বাজে।
আমি জানি, আমি খুব শক্ত কিন্তু এবার আমার পরিবার ও বন্ধুদের খুব প্রয়োজন। ইনজুরি ও অস্ত্রোপচার খুব সহজ ব্যাপার নয়। চার মাস রিকভারির পর মাঠে ফিরে আবারও ইনজুরিতে পড়তে হলো।’
ইনজুরি যেন নেইমারের নিত্যদিনের সঙ্গী। চোট কাটিয়ে সাত মাস পর গত সেপ্টেম্বরেই মাঠে ফিরেছিলেন।
কয়েক দিনের ব্যবধানেই আবারও মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হলো ব্রাজিল ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলদাতার। বিবিসি