স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরীফ

নওয়াজ শরীফ। ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যে চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। অবশেষে চার বছর পর দেশে ফিরছেন তিনি। প্রথমে ইসলামাবাদে আসবেন নওয়াজ শরিফ। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে বিশ্রাম নেবেন।

এরপর লাহোরে পৌঁছাবেন। নওয়াজ শরীফ তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লীগকে (পিএমএলএন) সাধারণ নির্বাচনে জয়ী করার আশা নিয়ে দেশে ফিরছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাধারণ নির্বাচনের তিন মাস আগে দেশে ফিরছেন দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৪ বছর কারাদণ্ড পাওয়া শরীফ। দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে যেন তাকে গ্রেপ্তার করা না হয় সেজন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার আদালত তাকে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছে। ঐদিন আদালতে শরীফের হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে। 

২০১৭ সালে শেষবার ক্ষমতাচ্যুত হন শরীফ। এরপর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৯ সালে লন্ডন চলে গিয়েছিলেন।

আদালত তাকে চিকিৎসা সেবা নিতে সীমিত সময়ের জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। লন্ডনে থেকেই নওয়াজ শরীফ ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং সফল হন। ফলে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তিনিও এখন জেলে আছেন। ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজের ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ।

আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। দেশটিতে ইমরান খানের এখনও অনেক জনপ্রিয়তা আছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য উইলসন সেন্টারের ‘সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের’ পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি বলেন, ইমরান খানের বিশাল ভোটব্যাংকের কারণে শরীফের দলের জনপ্রিয়তা কমেছে।

২০১৭ সালে শরীফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ছিল মাত্র চার শতাংশ। এদিকে, গত সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার গতবছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি ছিল। আর এই বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশের কম হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

লেখক ও বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা মনে করছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শরীফ নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করতে পারেন। তবে নওয়াজ শরীফ ও ইমরান খান দুজনই সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
 

LEAVE A REPLY