বিশ্বকাপের চলতি আসরে টানা দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পায় পাকিস্তান। এরপর টানা তিন ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার পর তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায় পাকিস্তান।
দলের হ্যাটট্রিক পরাজয়ে কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে খেলতে হলে বাকি চার ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। আজ শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাবর আজমরা। তার আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক শাদাব খান বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ থেকেই জয়ে ফিরতে চাই।
শাদাব বলেন, ‘দেখুন, এটা নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের ওপর নির্ভর করে। আর কোনো রাস্তা নেই বলে এটা চাপ কমিয়ে দেবে বলেও মনে হয়, কারণ হারানোর কিছু নেই। হারলে তো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকেই যাবেন। ফলে এ ম্যাচে যত ইতিবাচক ব্যাপার আনতে পারবেন, ততই লাভবান হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের দল (আগেও) এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়েছে, ভালো পারফর্ম করেছে। আশা করি শুক্রবার জয়ের ধারা শুরু হবে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, এই ফাস্ট বোলাররা বেশ ভালো পারফর্ম করেছে গত কয়েক বছরে, যেখানেই খেলুক। তাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। ব্যাটার হোন বা বোলার, পেশাদার খেলায় সবাইকে এমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তারা অমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তবে ভাবনার ব্যাপার হলো সবাই একসঙ্গে এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেউ ভালো ফর্মে থাকলে অবস্থাটাও ভালো হতো। তবে দল হিসেবেই ভুগছি আমরা। আশা করি, কাল থেকে এটি বদলাবে, সবাই ঠিক পথে ফিরবে। আশা করি, কাল থেকেই এটি শুরু হবে।’
এমন প্রশ্নের জবাবে শাদাব বলেছেন, ‘কাজটা সহজ, যদি আপনি তাদের কথায় কান না দেন। আমি সব সময়ই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলি, কারণ এমন টুর্নামেন্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ, আপনি পারফর্ম করতে পারলে সবাই বলবে—সে ভালো করছে অনেক, সে এটা করছে। কিন্তু ভালো না করলে ওই একই ব্যক্তি আবার বলবে, সে ভালো না। কারণ, মানসিকতাটা এমন, কেউ দলে না থাকলে সে-ই সেরা। আর কেউ দলে এলে সে সবচেয়ে খারাপ। এটি এমনই।’
সবশেষ শাদাব বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে আপনাকে জিততে হবে। যদি জিততে থাকেন, তাহলে সবকিছুই পুষিয়ে যাবে। যদি হারেন, তাহলে আপনি কতটা ভালো, আপনার দল কতটা ভালো খেলছিল এর আগে—তাতে কিছু যাবে–আসবে না। ফলে মূল ভাবনা হচ্ছে-জিততে হবে।’