হামাসের টানেল ধ্বংসে এবার নামবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অভিজাত ইউনিট ‘ডেল্টা ফোর্স’। ইসরাইল গাজা উপত্যকায় আকস্মিক আক্রমণের অংশ হিসাবে ইউএস ডেল্টা ফোর্স কমান্ডোদের তত্ত্বাবধানে নার্ভ গ্যাস এবং রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামাসের টানেল প্লাবিত করবে। বৃহস্পতিবার একটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ফরাসি দৈনিক লা মন্ডে।
ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র হামাসের টানেল ভেদ করতে, ২২৪ জিম্মি উদ্ধার ও হাজার হাজার হামাস সেনাকে হত্যা করতে ডেল্টা ফোর্স নামাবে বলে জানা গেছে। সূত্রটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া একটি ভিডিও থেকে এ তথ্য এসেছে। সূত্রটি আরও বলেছে, ‘হামাসের টানেলে প্রচুর পরিমাণে নার্ভ গ্যাস পাম্প করা হবে, যা ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে জন্য শারীরিক চলাফেরা পঙ্গু করে দিতে সক্ষম। এই সময়ের মধ্যে, ইসরাইলি সেনারা টানেলগুলোতে অনুপ্রবেশ করবে। জিম্মিদের উদ্ধার করবে এবং হাজার হাজার আল-কাসেম সেনাকে হত্যা করবে বলে আশা করছে।’ ধারণা করা হচ্ছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইল যে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি ‘যুদ্ধ বিভাগ’র সভা এবং পরিকল্পনা অধিবেশনে অংশ নিতে ইসরাইল সফর করেন।
একটি পোস্টে বাইডেন ভুলভাবে একটি ছবি শেয়ার করেন। যাতে দেখানো হয়েছে, তিনজন ডেল্টা ফোর্স কমান্ডার ইসরাইলি সেনাকে জিম্মি মুক্তি করার অপারেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন। পরে তা মুছে ফেলা হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন অপারেশন নিয়ে আলোচনা করতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন ফোনে কথা বলছেন। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের ইসরাইলে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন বলা হয়, আরও মার্কিন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য ইসরাইল স্থল অভিযান বিলম্বিত করছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে, ইসরাইলের মিত্ররা আশঙ্কা করছে, এ পদক্ষেপ গাজার ফাঁদে পা দেওয়ার মতো হতে পারে। তারা ধারণা করছে হামাস এবং তেহরানে তার সমর্থকরা অবশ্যই ইসরাইলের অনুপ্রবেশের পরে একটি ভয়ংকর আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার পরিকল্পনা করছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিজবুল্লাহর বোমা তৈরির দক্ষতা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। হামাসের এখন বিমানবিধ্বংসী ক্ষমতা রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান রোববার বলেছেন, এই অঞ্চলে অবিরাম গণহত্যা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ইসরাইলি সেনাদের জন্য গুরুতর ও তিক্ত পরিণতি বয়ে আনতে পারে।