হেড কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিজের ছেলেকে জুড়ে দিয়েছিলেন কয়েকদিনের জন্য। এর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি বিসিবি, রকিবুল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল রওয়ানা হওয়ার দিন রাতে টি স্পোর্টসে সাকিব আল হাসানের বিস্ফোরক একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়।
দুদিনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করেন সাকিব, যা অবিশ্বাস্য। কিন্তু এ নিয়ে টু-শব্দ করেনি বিসিবি। তবে বিশ্বকাপের পর এই ইস্যুতে সাকিবকে তলব করা হবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা।
‘সাক্ষাৎকারটি অবশ্যই প্রশংসা করার মত বিষয় নয়।
সত্যি বলতে, আমরা ভাবতেও পারিনি এমন কিছু কেউ বলবে’, তবু নীরবে সেটি হজম করেছে বিসিবি, কারণ, ‘বিশ্বকাপের আগে এ নিয়ে আমরা কিছু করতে চাইনি। যদি দলের ওপর প্রভাব ফেলে।’ তবে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এই কর্মকর্তার অনুধাবন, ‘সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। আমাদের উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে সাকিবের সঙ্গে কথা বলা।
’ এই ভুল বিশ্বকাপের পর নাকি শুধরাবে বিসিবি, ‘বিশ্বকাপের পর অবশ্যই আমরা বিষয়টি দেখব। এভাবে তো চলতে পারে না।’
এদিকে টি স্পোর্টসকে দেওয়া বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার নিয়ে সাকিব আল হাসানের নিজের মনে কোন খেদ আছে বলে মনে হয়নি। নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর এক সিনিয়র সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে, দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবাল। তাতে তাঁর অনুগত ক্রিকেটার থাকার কথা।
এই অবস্থায় তামিমের অনুপস্থিতি দলের নৈপুণ্যে কোন প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন কী? সাকিবের উত্তর ছিল, ‘পড়তেও পারে। আমি ঠিক জানি না। সবার মনের ভেতর তো আর ঢোকা যায় না।’
তাতে দলের ভেতরে বিভক্তির ব্যাপারটি নতুন করে সামনে এসেছে। যদিও ধর্মশালায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে দল থেকে ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে, তামিম ইকবালের নামই উচ্চারিত হয় না। সাকিব আল হাসানের প্রতি শতভাগ সমর্থন আছে দলের। আর তামিমের সম্ভাব্য পছন্দের ক্রিকেটার হিসেবে যে এক-দুজনের নাম অতীতে খবরে এসেছে, তাঁরা তো দলেই নেই।
তারপরও সাকিবের মনে কেন মনে হচ্ছে যে, বিশ্বকাপের দলে তামিম ইকবালের অনুসারী থাকলেও থাকতে পারে?