নদীতে ভাসছিল এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলের মরদেহ

বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাসিরহাট এলাকায় জয়ন্তী নদী থেকে প্রয়াত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলে এটিএম খালেকুজ্জামান কুশলের (৪৬) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মুলাদী থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ জানায়, মরদেহের সঙ্গে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সেটি প্রয়াত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলে এটিএম খালেকুজ্জামান কুশলের (৪৬)।

সেখানে ঢাকার সুত্রাপুর থানার দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনের ৪৬ নং বাসার ঠিকানা দেয়া হয়েছে।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে জয়ন্তী নদীতে ভাসমান অবস্থায় দুপুর অর্ধগলিত ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পকেটে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মরদেহটি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরিবার ও রাজধানীর সুত্রাপুর থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে।

তারা এলে নিশ্চিত বলা যাবে।

ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, বিকাল চারটার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে চিত্রনায়ক জায়েদ খান তাকে বিষয়টি অবগত করেন।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে। তার নাম জানিয়ে লাশের ছবিও দেখানো হয়েছে। যার ফলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি কুশলের লাশ।

কোয়েল আরো জানান, বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে বাসায় থাকতেন না কুশল। বাইরেই থাকতেন।

এমনকি বাবা মারা যাবার পরেও তিনি আসেননি। সর্বশেষ ২৪ তারিখে বাসায় এসে মায়ের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। খুলনা যাবেন বলে জানিয়ে গেছেন মাকে। তবে বরিশালে কিভাবে লাশ উদ্ধার হলো তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের কেউ।

মুলাদী নৌ-পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিব বলেন, জয়ন্তী নদীর নাজিরপুর ইউনিয়নের নাসির হাট নিজাম তালুকদারের বাড়ীর এলাকায় মরদেহটি ভাসতে ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। তারা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মুলাদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। মরদেহে পচন ধরে চার-পাঁচদিন ধরে নদীতে ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট ছিলো। 

সুত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলাম বলেন, মুলাদী থানার ওসি বিষয়টি জানানোর পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তার মা জানিয়েছে গত ২৫ অক্টোবর বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছে। দুইদিন পর তার মায়ের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছিলো। তিনি কোথায় তাও জানা যায়নি। সে যে নিখোঁজ রয়েছে তা পরিবারও জানে না বলে জানিয়েছে। 

খবর পাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা বরিশালের উদেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।

LEAVE A REPLY