ফাইল ছবি
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। আজ বুধবার ঢাকা-খুলনা পথে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এবং ঢাকা-যশোর পথে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি চলবে। আগে এই দুই ট্রেনই ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু হয়ে চলাচল করত।
নতুন রেলপথে কমে আসছে সময়ের দূরত্ব।
আগে ঢাকা থেকে খুলনা ও বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন দুটি পৌঁছতে সময় লাগত প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা। নতুন রুট পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পৌঁছতে ট্রেন দুটির সময় লাগবে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা। সেই সঙ্গে রেলওয়ের ঘোষিত ভাড়া থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা পথে ট্রেনের ভাড়া কমিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের।
এক প্রশ্নের জবাবে কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘ট্রেন চালানোর জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ।
নতুন রুটে চলা ট্রেনগুলো স্টেশন ৮, ৯ ও ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে। এসব ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয়েছে। পর্যায়ক্রেমে এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে।’
রেলওয়ে তথ্য বলছে, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ও ঢাকা পৌঁছবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে।
ট্রেনটি আবার ঢাকা ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ও খুলনা পৌঁছবে বিকাল ৩ টা ৫০ মিনিটে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে বেলা ১ টায় ও ঢাকা পৌঁছবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। আর ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ও বেনাপোল পৌঁছবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে।
এদিকে ভাড়ার নতুন তালিকা অনুযায়ী, আন্তনগর ট্রেনে (নন-এসি) ঢাকা-ভাঙ্গাপথে ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। তা কমিয়ে ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফলে ভাড়া কমল ১১৫ টাকা।
এখন ঢাকা থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত শোভন শ্রেণির আশনের ভাড়া ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির আসন ৩১০ টাকা, প্রথম শ্রেণির বার্থের ভাড়া ৩৬৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) আসনের ভাড়া ৪৬৫ টাকা এবং এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৬৯৫ টাকা।
শোভন চেয়ারে ঢাকা থেকে যশোরের ভাড়া ছিল ৫৬৫ টাকা, যা এখন ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে খুলনা পথে ৬১৫ টাকার জায়গায় ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হবে যাত্রীদের।