যেদিন বাইডেন ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ করবেন, সেদিন আমিও করব : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের আহ্বানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কার সঙ্গে সংলাপ? কিসের সংলাপ? তাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) বাইডেন সাহেব কি ট্রাম্প সাহেবের সঙ্গে ডায়ালগ (সংলাপ) করেন? যেদিন বাইডেন সাহেব ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ করবেন, সেদিন আমরাও সংলাপ করব।’

সদ্যঃসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট যে সন্ত্রাসী দল, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। কানাডার আদালত কিন্তু এ বিষয়টা কয়েকবার বলেছে।

সন্ত্রাসী দল হিসেবে কানাডা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেও তারা সেখানে সুযোগ পায়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আন্দোলনের নামে বিএনপির সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘পুলিশকে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমি বলব, এসব কাজ থেকে তাদের বিরত থাকা উচিত। এতে রাজনৈতিকভাবে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আর নির্বাচনের ব্যাপারে যেটা আমার ধারণা, এরা আসলে নির্বাচন চায় না। এরা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’ তিনি এসব সন্ত্রাসীদের উচিত শিক্ষা দেওয়াও প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন।

নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা কাজ করবে।

আরপিও অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিসভা তাদের রুটিন কাজ করবে এবং মন্ত্রীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।’

বিশেষ ট্রাইব্যুনালের অধীনে তাদের বিচারের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা আলোচনা করব। তারা জঘন্য কাজ বন্ধ না করলে তাদের এ ধরনের অপরাধমূলক কাজের পরিণতি ভোগ করতে হবে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদের সঙ্গে আমরা যতই ভালো ব্যবহার করি না কেন এদের কখনোই স্বভাব বদলাবে না।

সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে এরা বিশ্বাস করে। কারণ অবৈধভাবে অস্ত্রহাতে ক্ষমতা দখরকারীর হাতে এদের জন্ম। কাজেই এরা ওইটাই (সন্ত্রাস) ভালো বোঝে, আর কিছু নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে মানুষকে কষ্ট দেওয়াটাই এদের চরিত্র। কাজেই এখানে আমার বলার কিছু নেই, আন্তর্জাতিকভাবে যেখানেই গিয়েছি সকলেই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। একমাত্র দুঃখে পড়েছে বিএনপি আর জামায়াত জোট।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সেই সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে সেই শিক্ষাটাই এখন আমাদের দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আর সেটাই আমরা দেব। এদের জন্য এই দেশটা ধ্বংস হোক, সেটা সহ্য করা যাবে না।’ বিএনপির সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিকদের ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো সরকার সহযোগিতা করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

LEAVE A REPLY