প্রতীকী ছবি
ইন্দোনেশিয়ায় ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ভবনের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বলেছে, ৬.১ মাত্রায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের রাজধানী কুপাং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে।
ইন্দোনেশিয়ার ‘মেটিওরোলজি ক্লাইমাটোলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্যাল এজেন্সি’-এর ভূমিকম্প ও সুনামি কেন্দ্রের প্রধান দ্যারিওনো বলেছেন, বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে তীব্রভাবে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছিল। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তবে সুনামির কোনো ঝুঁকি ছিল না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দারিওনো লিখেছেন, ‘ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েকটি ভবন এবং বাড়ির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনগুলো দুলছে। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বিএমকেজির প্রধান বলছেন, কুপাংয়ের আঞ্চলিক প্রধানের অফিসে ভূমিকম্পের কারণে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৪ জানালেও ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (বিএমকেজি) দাবি করেছে, এর মাত্রা ৬.৩।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পের দিক থেকে বেশ সক্রিয় দ্বীপপুঞ্জ। যেখানে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামি প্রায়শই ঘটে। গত বছর ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরে কমপক্ষে ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সুলাওয়েসিতে ২০১৮ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে চার হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। যেটি ইন্দোনেশিয়ায় ঘটা সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প ছিল।
সূত্র : এপি