হার্শা বলছেন, ‘ক্রিকেটীয় চেতনা দুর্বল যুক্তি’

হার্শা ভোগলে। সংগৃহীত ছবি

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ বিতর্কে বিভক্ত ক্রিকেট বিশ্ব। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ম্যাথুসকে ফিরিয়ে না আনায় ক্রিকেটীয় চেতনার কথা উল্লেখ করে কেউ কেউ সাকিব আল হাসানকে শূলে চড়াচ্ছেন। তবে জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে এ ক্ষেত্রে ক্রিকেটীয় চেতনাকে দুর্বল যুক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এই প্রসঙ্গে হার্শার যুক্তি, ‘ক্রিকেটীয় চেতনার বিষয়টি থেকে বেরিয়ে আসুন।

এটি একটি দুর্বল যুক্তি। যারা অজ্ঞ বা ভুল করে, তারা প্রায়ই এই যুক্তি তুলে ধরে। আইন আছে এবং আপনি আইনের মধ্যে থেকেই খেলছেন। তা ছাড়া কে কিভাবে খেলবে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

ম্যাথুস এবং শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু খেলার নিয়ম অনুযায়ী তিনি আউট ছিলেন।’

হার্শার মতে, এই সিদ্ধান্ত একান্ত সাকিবের, ‘(টাইমড আউটের) আবেদন করার অধিকার সাকিবের ছিল। তার আবেদন জানানো উচিত ছিল কি ছিল না, সেই সিদ্ধান্ত আমাদের নয়।

এটা তার সিদ্ধান্ত, তিনি এভাবেই খেলতে চান।’

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ম্যাথুস। হেলমেটের ফিতা ছিঁড়ে যাওয়ার মুহূর্তেও আরো ৫ সেকেন্ড সময় বাকি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু চতুর্থ আম্পায়ার জানিয়েছেন, হেলমেটের সমস্যার আগেই ২ মিনিট সময় পেরিয়ে যান ম্যাথুস। এ ক্ষেত্রে হার্শার ভাষ্য, ‘আপনাকে আম্পায়ারদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

তাঁরা যদি বলেন যে দুই মিনিট অতিবাহিত হয়েছে, তাহলে মেনে নিতে হবে। কারণ, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ এবং খুব ভালো আম্পায়ার। তাঁদের এ ধরনের ভুল করার আশঙ্কা কম। দ্বিতীয়ত, আইনের অজ্ঞতা থাকলে আত্মপক্ষ সমর্থন করা যায় না। যদি আইন থাকে এবং আপনি তা লঙ্ঘন করেন, তাহলে আপনি নিজেকে সমর্থন জানানোর মতো অবস্থায় নেই।

নিজের পোস্টে মানকাড আর টাইমড আউটের পার্থক্যও তুলে ধরেছেন হার্শা, ‘নন-স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে অনেক সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সঙ্গে এই ঘটনা আলাদা। সেখানে ব্যাটার অন্যায্য সুবিধা চাইছেন বা পাচ্ছেন। তাই সম্ভব হলে বোলার অবশ্যই রানআউট করতে পারবেন। কিন্তু এখানে ম্যাথুস কোনো সুবিধা চাচ্ছিলেন না বা পাচ্ছিলেন না। ব্যাটাররা নিয়মিতভাবেই বোলার বা ফিল্ডারের হাতে বল তুলে দেন এবং কেউ আবেদন করেন না। যদিও সচেতন ব্যাটাররা জিজ্ঞেস করেন যে তারা এটা করতে পারেন কি না। এ ক্ষেত্রেও ম্যাথুস যদি জিজ্ঞেস করে নিতেন, তিনি তার হেলমেট বদলাতে পারেন কি না, আমি নিশ্চিত (বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে টাইমড আউটের) কোনো আবেদন হতো না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এটা (ম্যাথুসের আউট) দুর্ভাগ্যজনক। আমি সপ্তাহের প্রতিদিনই নন-স্ট্রাইকারকে আউট করব। কিন্তু এর (টাইমড আউটের) জন্য আবেদন করব না।’

LEAVE A REPLY