‘বাসে আগুন দিয়ে যারা গ্রেপ্তার, তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে’

বিপ্লব কুমার সরকার। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, অবরোধে যেসকল নাশকতাকারী বাসে আগুন দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নাম ও তথ্য পেয়েছি। কারা এসব করছে এবং এর পেছনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোথায় থেকে তারা পেট্রোল, ঘ্রাণ পাউডারসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে এসব সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অতিদ্রুত তাদের সবাইকে আইনে আওতায় আনা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি-জামায়াতের দেওয়া তৃতীয় দফায় অবরোধ পরিস্থিতি নিয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘চলমান যে অবরোধ, এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি, এ নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে নাশকতা নিয়ে। অবরোধ পালন করতে গিয়ে যে বাসে ও যানবাহনে আগুন দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটিই হচ্ছে পরিষ্কার নাশকতা।

তিনি আরো বলেন, ‘নাশকতাকারীদের ধরার জন্য আমাদের টিমগুলো কাজ করছে। ইতিমধ্যে অনেকে ধরা পড়েছে। এখনো যারা বাইরে থেকে এ ধরনের নাশকতার সাথে জড়িত, তারা গতকালও কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে। নাশকতাকারীরা যদি মনে করে থাকে আইনের হাত থেকে বেশিদিন দূরে থাকবে সেটা পারবে না।

এ ধরনের নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন টিম কাজ করছে।’

মানুষের মনে নাশকতাকারীরা যে ভয় বা আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে, সেটায় তারা সফল হবে না উল্লেখ করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘ইতিমধ্যে মানুষ রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে এবং যানবাহনও নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। মানুষ সচেতন, তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে। কারণ, মানুষ যদি ঘর থেকে বের হয় তাহলে অপরাধীরা পালাতে বাধ্য।’

রাতের বেলায় কেন বেশি আগুন দেওয়া হয় এমন প্রশ্নে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘অপরাধী সব সময় চেষ্টা করে যেন অপরাধ করে দ্রুত সময় পালাতে পারে।

সেটা আগে ঠিক করে নেয়, কোথায় কী করবে এবং আশপাশে কোনো সিসিটিভি আছে কীনা। এভাবে সুযোগ বুঝে বাসে যাত্রী বেশে উঠে আগুন লাগিয়ে নেমে পড়ে। তবে অপরাধীদের চেয়ে আমাদের পুলিশের কাউন্টার মেকানিজম অবশ্যই শক্তিশালী। তাই আমাদের কাউন্টার মেকানিজমের কাছে তাদের আসতেই হবে।’

LEAVE A REPLY