হলিউডের নামি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনি পিকচার্সের সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন শ্যারন স্টোন। আশির দশকের শুরুর দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে, অভিযোগে জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই হলিউড অভিনেত্রী। তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তাঁর নাম মুখে আনেননি অস্কার মনোনয়ন পাওয়া ৬৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী। কেলি রিপার পডকাস্টে এসে কথায় কথায় এ ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন শ্যারন স্টোন।
আশির দশকে লস অ্যাঞ্জেলেসে সনির অফিসে ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নিজস্ব কেবিনে সিনেমা নিয়ে আলাপ করতে গিয়েছিলেন শ্যারন।
তাঁরাই নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ করবেন বলে আলোচনায় ডেকেছিলেন। শুরুতেই ওই কর্মকর্তা অভিনেত্রীর রূপের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘চারদিকে তোমার রূপের যা প্রশংসা শুনেছি, তুমি সত্যিই সে রকম। তোমার মতো গর্জিয়াস নারী আমি বহু বছর দেখিনি।
সবাই তোমাকে নিয়ে আলোচনা করছে। তুমি নিজেকে একবার দেখো! কী স্মার্ট আর রূপবতী তুমি! আর ওই চুলগুলো…’। শ্যারন স্টোন বলেন, ‘এমন প্রশংসামূলক কথা বলতে বলতে তিনি হাঁটতে হাঁটতে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন। আমি চেয়ারে বসা।
হঠাৎ তিনি নিজের প্যান্টের জিপার খুলে…।’
শ্যারন জানান, মুহূর্তেই তিনি চিৎকার করে এই আচরণের প্রতিবাদ করেন। ততক্ষণে লোকটার সহকারী প্রবেশ করে অফিস ডেস্কের পেছনের দরজা দিয়ে তাঁকে বের করে নিয়ে যান। একটু পর সেই সহকারী শ্যারনকেও অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন ৷ শ্যারন স্টোন বলেন, ‘ওই ঘটনার পর সনির আর কোনো ছবিতে আমি অভিনয়ের সুযোগ পাইনি। আমি এই ঘটনা কাউকে কখনো বলিনি।
’ ‘বেসিক ইন্সটিংক্ট’ অভিনেত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মন্তব্য জানতে সনি পিকচার্সের সঙ্গে বিবিসি যোগাযোগ করেছিল। তবে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় এই হলিউড অভিনেত্রী দুই বছর আগে লিখেছিলেন অটোবায়োগ্রাফি ‘মেমোয়ার : দ্য বিউটি অব লিভিং টোয়াইস’। বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন, হলিউডে যৌন হেনস্তার সম্মুখীন হয়েছেন কি না? ওই সময় বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। পডকাস্টে সেই প্রসঙ্গও তোলেন অভিনেত্রী। এমনকি ‘মি টু’ আন্দোলনের সময়ও এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা সামনে আনেননি বলে এখন তিনি অনুতপ্ত ৷ সেটা জানাতেও ভুললেন না গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী।