নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে বিক্রি হচ্ছে ডিম

ফাইল ছবি

আমদানির প্রভাব ও চাহিদা কমায় দেশের বাজারে কমেছে ডিমের দাম। এখন রাজধানীর বাজারগুলোতে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে কমে খুচরায় ডিম বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে প্রতি ডজন ডিমের দাম সরকার নির্ধারিত ১৪৪ টাকার নিচে নেমে এসেছে।

জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর ভারত থেকে ডিমের একটি চালানের মাধ্যমে দেশে আমদানি হয় ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম। এর পর থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে দ্রুত কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। ভারতের ডিম দেশে আসার পর ছয় থেকে সাত দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ২৫ টাকার মতো কমেছে।

তবে ডিমের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির কারণে ডিমের দাম কমেনি, দাম কমেছে বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায়।

তারা বলছেন, বাজারে এখন শীতের সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ডিমের ওপর চাপ কমে গেছে।

রবিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আজকের তথ্য বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ১২ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ডিমের চাহিদা কমে গেছে। এতে ডিমের দাম কমেছে। সামান্য ডিম আমদানি হয়েছে, এটি এনে কোথায় বিক্রি হয়েছে তাও আমরা জানি না। দেশে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে। তার মধ্যে মাত্র ৬২ হাজার ডিম আমদানি হয়েছে।

অল্প ডিম আমদানির কোনো প্রভাব বাজারে পড়েনি।’

জানতে চাইলে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার মুদি দোকানের ব্যবসায়ী সুরুজ আলী বলেন, ‘প্রতিদিনই এখন ডিমের দাম কমছে। খুচরায় প্রতি হালি ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। ডজন বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়।’

LEAVE A REPLY