পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে সতর্ক হোন
পথেঘাটে, শপিং মলে কিংবা অফিসে অনেক মানুষ একই টয়লেট ব্যবহার করে। তাই সেসব স্থানে টয়লেট ব্যবহারে কিছুটা সতর্ক না থাকলেই না। আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির দেওয়া তথ্যমতে, পাবলিক টয়লেটের সিটে এবং সাবানে ৭৭ হাজার রকমের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থাকে। এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল আমেরিকার পাবলিক টয়লেটে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি যে আরো খারাপ অবস্থা নির্দেশ করে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু প্রয়োজনের সময় ব্যবহার না করেও যেহেতু উপায় নেই তাই জেনে নিন পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
• বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ব্যাগে সব সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপ বা ওয়েট টিস্যু রাখবেন। বিশেষ করে নারীরা এ বিষয়ে সচেতন থাকুন।
• পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতেই যদি হয় তাহলে হাই কমোড এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। লো কমোড ব্যবহার করা ভালো। এতে কিছুটা হলেও জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
• সম্ভব হলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের আগে একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপ দিয়ে টয়লেট সিট এবং আশপাশের এলাকা মুছে নিন।
এতে মূত্রনালির সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমবে।
• যদি ওয়েস্টার্ন কমোড ব্যবহার করতে হয় তবে ফ্লাশ করার আগেই ঢাকনা বন্ধ করে নিন। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যেতে পারে। ফ্লাশ করার সময় ঢাকনা খোলা থাকলে, বিপুল পরিমাণে জীবাণু ছড়াতে থাকে।
• ব্যাগ বা কোনো জিনিস পাবলিক টয়লেটের মেঝেতে রাখবেন না।
হাতে রাখার চেষ্টা করুন।
• টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিন অথবা ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।
• অফিসে হোক বা পাবলিক প্লেসে, টয়লেটে গিয়ে আগে ফ্ল্যাশ করে নিন। আপনার আগে যিনি ব্যবহার করেছেন, তিনি হয়তো পরিষ্কার করেই গেছেন। তবু একবার ধুয়ে নিন। এতে আগে থেকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।