মারনাশ লাবুশেনের সময়টা যেন যাচ্ছে স্বপ্নের মতো।
মারনাশ লাবুশেনের সময়টা যেন যাচ্ছে স্বপ্নের মতো। কিছুদিন আগেও জানতেন না এবারের বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কি না তিনি! শুরুতে স্কোয়াডেই যে জায়গা ছিল না তাঁর। সতীর্থের চোটে ভাগ্য খুলে যাওয়া লাবুশেন বিশ্বকাপ ফাইনালে খেললেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। উঁচিয়ে ধরলেন বিশ্বকাপ শিরোপা।
গত কিছুদিনের মধ্যে ঘটে যাওয়া সব কিছু অলৌকিক মনে হচ্ছে এই ব্যাটারের কাছে, ‘অলৌকিকতায় বিশ্বাস না করা আমার জন্য কঠিন বটে এবং সেখানে এমন কেউ আছেন যিনি সব কিছু একত্রে দিয়েছেন।’
১০ ইনিংসে লাবুশেন রান করেছেন ৩৬২। ফাইনালে ট্রাভিস হেডের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট গড়েন ১৯২ রানের জুটি। ফাইনাল ম্যাচের আগের রাতেও একাদশে সুযোগ মিলবে কি না, সেটা নিয়ে ভীষণ চিন্তায় ছিলেন এই ব্যাটার, ‘ম্যাচের আগের রাতে তখন ১০টা বাজে।
তখনো দল ঘোষণা করেনি। জানতাম না আমি খেলব কি না। বিছানায় শুয়ে ছিলাম এবং চিন্তা করছিলাম, ফাইনালে কিভাবে আমি অবদান রাখতে পারি। কিন্তু যদি আমি একাদশেই না থাকি? হতে পারে ফিল্ডিং দিয়ে? এরপর সাড়ে ১০টার দিকে জানতে পারি আগের ম্যাচের একই একাদশ নিয়ে ফাইনাল খেলছি আমরা।
এটা আমার জন্য স্বস্তির ছিল।’
বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ছিলেন না লাবুশেন। স্টিভেন স্মিথের চোটে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। যদিও প্রথম ম্যাচে সুযোগ হয় না তাঁর।
পরের ম্যাচেও একাদশে জায়গা হয়নি। তবে ক্যামেরুন গ্রিনের চোটে ‘কনকাশন’ সাব হয়ে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেন অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস। সেই ইনিংস আর সতীর্থ অ্যাস্টন আগারের চোট তাঁকে নিয়ে আসে বিশ্বমঞ্চে। এ ব্যাপারে লাবুশেন বলেছেন, ‘সুযোগ পেয়ে রান করলাম, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ম্যাচের পর টানা ১৯ ম্যাচ খেললাম, অবিশ্বাস্য।’