আপাতত সিনেমা নিয়েই আমার চিন্তা-ভাবনা

পূজা ক্রুজ। ছবি : সংগৃহীত

অভিনন্দন। নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন…

ধন্যবাদ। ছবিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কথা হচ্ছিল। একটা সময় মনে করেছিলাম হয়তো ছবিটা আমি করছি না।

নির্মাতা অন্য কাউকে আমার জায়গায় কাস্টিং করেছেন। হঠাৎ করে ডাক পেলাম গত সপ্তাহে। জানতে পারলাম আমিই ছবিটি করছি।

‘এশা মার্ডার—কর্মফল’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?

এক মাস আগে ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে ফোন দিয়েছিলেন।

পাণ্ডুলিপি পাঠালেন। পড়ার পর দুটি চরিত্র আমার পছন্দ হয়, একটা এশা, আরেকটা লিনা। আমি কাস্টিং ডিরেক্টরকে সেটা জানিয়ে দিই। এরপর অডিশনে ডাক পড়ে।

অডিশনের দিন জানতে পারলাম, আমাকে এশা চরিত্রের জন্যই ডাকা হয়েছে। অডিশনের পর মাসখানেক আর কোনো খবর পাইনি। ভাবলাম বাদ পড়েছি। গত সপ্তাহেই সব চূড়ান্ত হলো, আর ২১ নভেম্বর তো আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিও হয়ে গেল।

ছবির নাম ভূমিকায় আপনি।

আজমেরী হক বাঁধন আছেন প্রধান আরেকটি চরিত্রে। তাঁর মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে চাপ মনে হবে না তো?

সত্যি বলতে কী, যখন শুনলাম লিনা চরিত্র করবেন বাঁধন আপু, সেদিন খুব ভেঙে পড়েছিলাম। ভয়ও পেয়েছিলাম কী করব! পরে নিজেকে শক্ত করেছি। আমাকে ঘিরেই তো গল্প। আমার খুনিকে ধরতেই বাঁধন আপু চষে বেড়াবেন। এই ছবিতে সেই অর্থে কোনো নায়ক নেই। আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, আমি যদি নায়িকা হই তাহলে ছবিতে বাঁধন আপুই নায়ক।

এর আগে আপনি ‘দামাল’-এ অভিনয় করেছিলেন। মাঝখানে আর কোনো ছবি করেননি কেন?

‘দামাল’ আমার প্রথম ছবি। নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলাম সেখানে। বলতে পারেন ছবিটি আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। পরে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আশায় ছিলাম বড় প্রডাকশনের ছবির। কপ ক্রিয়েশন এর আগে যতগুলো ছবি নির্মাণ করেছে সব কটিই আলোচিত ও ব্যবসাসফল। তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর বাকি প্রস্তাবগুলো আর গ্রহণ করিনি।

আপনি তো ‘লাক্স সুপারস্টার’-এ ছিলেন। সেখান থেকেই কি মিডিয়াতে যাত্রা শুরু?

হ্যাঁ। এমনিতে ছোটবেলা থেকে আমি গান শিখতাম নজরুল একাডেমিতে। মায়ের কাছেও নাচ শিখেছি। স্কুল-কলেজের নানা প্রগ্রামে পারফর্মও করেছি। তবে শোবিজের প্রতি আলাদা একটা ঝোঁক ছিল। বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা। তিনি কথা দিয়েছিলেন মাধ্যমিক পাস করার পর শোবিজে কাজ করতে দেবেন। আমিও মাধ্যমিকের পরপর লাক্সে নাম লেখাই। টপ টেনে উঠেছিলাম, টপ মোস্ট কনফিডেন্ট লাক্স সুপারস্টারও নির্বাচিত হই।

তাহলে সিনেমার বাইরে আর কিছু করবেন না?

আপাতত সিনেমা নিয়েই আমার চিন্তা-ভাবনা। নাটক কিংবা টেলিছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়মিত পাই। তবে সবাইকে বুঝিয়ে বলি আমার ফোকাসের কথা। লাক্স থেকে বের হওয়ার পর র‌্যাম্প মডেলিং করেছি নিয়মিত। আজরা মাহমুদের পরিচালনায় অনেক শো করেছি। তবে এখন শোগুলো করা হচ্ছে না সিনেমার কারণে। ‘এশা মার্ডার—কর্মফল’-এর শুটিং ডিসেম্বরে শুরু হবে। তখন তো অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সময়ও থাকবে না।

LEAVE A REPLY