ইসরাইলি হামলায় লন্ডভন্ড গাজা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহুতল ভবন। বাড়িঘর বলতে আর কিছু নেই। ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে সবকিছু। সেই ভাঙা ঘরেই বোমা খুঁজে বেড়াচ্ছে গাজা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে অবিস্ফোরিত বোমা অপসারণের জন্য কাজ করছে বিশেষজ্ঞ দলগুলো। রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মরদেহগুলোও উদ্ধার করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা দ্য ফিলিস্তিনি মা’ন জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সগুলো যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে গাজার রাস্তা থেকে কয়েক ডজন লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স দলগুলো গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল থেকে আহতদের স্থানান্তর সম্পন্ন করেছে।
গাজার স্থানীয় গণমাধ্যম শনিবার জানিয়েছে, এ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি গাজার মানুষকে সংক্ষিপ্ত অবকাশ দিচ্ছে। জীবিত পরিবারের সদস্যদেরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে, বেঁচে থাকা নাগরিকরা ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করতে তাদের বাড়িতেও ফিরে গেছেন।
১৩৪ ফিলিস্তিনি নাগরিক যারা যুদ্ধের শুরু থেকে মিসরীয় শহর আল-আরিশে আটকা পড়েছিলেন তারা গাজা উপত্যকায় ফিরে নিজ শহরে ফিরে গেছেন। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন গাজা উপত্যকার উত্তর থেকে অল্প সংখ্যক বাস্তুচ্যুত লোক দক্ষিণে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে, যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো মিসর প্রায় ২০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্যে সাত ট্রাক গ্যাস ও ডিজেল জ্বালানি রয়েছে।