অনেকে না বুঝেই সমালোচনা করেন

জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবারও নিয়মিত হয়েছেন অভিনয়ে। সম্প্রতি একটি ভারতীয় ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি। এছাড়া দেশি একটি ওটিটিতে আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে নতুন আরও একটি সিনেমা। এসব নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

পর পর দুইটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। কেমন অনুভূতি?

খুবই ভালো লাগছে। ‘শনিবার বিকেল’ ও ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’- দুটো সিনেমার সঙ্গে দুইরকমের ভালোবাসা আর টান রয়েছে। মজার বিষয়, একটার গল্প আরেকটা থেকে একদম আলাদা। তবে ‘শনিবার বিকেল’ যদি দেশেও মুক্তি পেত আরও ভালো লাগতো। আশা করছি শিগগির দেশের মানুষও সিনেমাটি দেখতে পারবেন। 

‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। ওটিটিতে মুক্তির পরও তেমন কিছু শুনেছেন?

সমালোচনা যারা করেছে তারা কী দেখে করেছে? আমার তো মনে হয় না। আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের অনেকে না বুঝেই সমালোচনা করেন। ‘শনিবার বিকেল’ এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। বিদেশি দর্শকও এটা দেখেছেন। এখন ভারতীয় ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ায় সেখানের মানুষ দেখছেন। এমনকি বাংলাদেশের অনেক দর্শকও সিনেমাটি দেখছেন। তারা আমাকে ম্যাসেজ করে বলেছেন সিনেমাটি তাদের ভালো লেগেছে। তারা সিনেমার গল্প, উদ্দেশ্যে বুঝতে পেরেছেন। আর সবাই ইতিবাচক কথাই বলেছেন। কেউ তো নেতিবাচক কিছু বলেননি এ পর্যন্ত।

আপনি বলতে চাইছেন এ সিনেমার গল্পে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি?

কখনওই না। একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি সিনেমা বানানো হয়েছে। সেখানে দেশকে খুব শক্তিশালীরূপেই উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি ধর্মীয় স্পর্শকাতরতার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। যারা সিনেমাটি না দেখেই নানা সমালোচনা করছেন, আশা করি তারা দেখার পর বুঝতে পারবেন।

এবার ‘অটোবায়োগ্রাফি’র প্রসঙ্গে আসি। এ সিনেমার মাধ্যমে অনেকগুলো ‘প্রথম’ যুক্ত হলো আপনার জীবনে…

হ্যাঁ। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার সহ-লেখক হিসাবে আসছি। প্রথমবার আমার স্বামীর (মোস্তফা সরয়ার ফারুকী) সঙ্গে অভিনয় করছি। আবার প্রথমবার আমাদের মেয়ে ‘ইলহাম’ থাকছে পর্দায়। জীবনের প্রতিটা ‘প্রথম’র অনুভূতিই বিশেষ থাকে। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো প্রথমের অনুভূতি আসলে আমি বলে বোঝাতে পারব না। এ সিনেমাটা সত্যি খুব বিশেষ আমাদের জন্য।

এখন কী তবে শুধু ফারুকীর সঙ্গে অভিনয় করবেন?

না, এমন কিছুই নয়। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ একটা বিশেষ সিনেমা, তাই এখানে সরোয়ার অভিনয় করেছে। আমি কিংবা সরোয়ার কখনওই নিজেদের কোনো সীমার মধ্যে বেঁধে রাখিনি যে, এর সঙ্গে কাজ করতে পারবে না, বা এখানে যেতে পারবে না। আমরা দুইজন ভীষণ প্রফেশনাল মানুষ। স্বতন্ত্রভাবে আমরা কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। 

এছাড়া নতুন কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন?

নতুন করে আর কিছুর সঙ্গে এখনও যুক্ত হইনি। চলতি বছর তো অনেকগুলো কাজই প্রকাশ পেয়েছে। সামনে আরও একটা আসছে। এগুলো নিয়েই আছি আপাতত। এছাড়া কিছু ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্য দেখছি, কথাবার্তা চলছে। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

LEAVE A REPLY