সব সময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি

আশনা হাবিব ভাবনা ছবি : মোহাম্মদ শাহীন

একসঙ্গে তিনটি ছবি করলেন। ছবিগুলো কবে মুক্তি পাবে?
‘দামপাড়া’র কাজ আগেই শেষ হয়েছে। ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্রও পেয়েছে। এটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ছবি।

তারাই বলতে পারবে কবে মুক্তি পাবে। তবে আমি ‘যাপিত জীবন’ ছবির কথা বলতে পারি। এটি আমাদের প্রডাকশন, আমার বাবা হাবিবুল ইসলাম হাবিব পরিচালক, অভিনয় করার পাশাপাশি ছবির প্রি-প্রডাকশন থেকে শুরু করে পোস্ট-প্রডাকশন—সব ধরনের কাজের সঙ্গে আছি। আমাদের ইচ্ছা আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে মুক্তি দেওয়ার।

‘পায়েল’ ছবির এখনো কিছু শুটিং বাকি। বিশেষ করে আমার অংশের এখনো ছয়-সাত দিন শুটিং করতে হবে। পরিচালক রায়হান খান হয়তো খুব শিগগির শিডিউল নিয়ে বসবেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, তিনটি ছবিই আগামী বছর মুক্তি পাবে।

বরাবরই কম ছবিতে অভিনয় করেন। এবারই প্রথম একসঙ্গে তিনটি ছবি করলেন। বিশেষ কোনো কারণ ছিল কি?
সব সময় আমি ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি। সেই কারণে আমার নাটক বা ছবির সংখ্যা কম। তবে সত্যি, এবারই প্রথম একসঙ্গে তিন-তিনটি ছবি হাতে নিলাম।

এর কারণও আছে। একটা একটা করে বলি, তাহলে সুবিধা হবে। ‘দামপাড়া’য় আমার চরিত্রটি বাংলাদেশের প্রথম নারী অ্যাম্বাসাডর মাহমুদা হকের। আমি আন্টিকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাঁর আদর্শ ছোটবেলা থেকে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তার ওপর ছবিটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। এত দিন আমরা মুক্তিযুদ্ধের ছবি বলতে সাধারণ মানুষের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া, বিজয় ছিনিয়ে আনা দেখেছি। এটি মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান তুলে ধরার জন্য নির্মিত হচ্ছে। সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। তা ছাড়া ছবিটি বড় ক্যানভাসে নির্মিত হবে আগেই জেনেছিলাম। কারণ সরকারের সাপোর্ট থাকলে নির্মাতা নানা সুবিধা পান। শুটিংয়ে আমরা পোর্ট ব্যবহার করেছি, চট্টগ্রামের রাস্তা ব্লক করে শুটিং হয়েছে। এগুলো সাধারণ ছবি হলে সম্ভব হতো না। তাই এককথায় ‘দামপাড়া’ করতে রাজি হয়েছি।

‘যাপিত জীবন’ তো আমাদের প্রডাকশন। আমার বাবা পরিচালক। অনেক দিন ধরে বাবার পরিচালনায় ছবি করার পরিকল্পনা করছিলাম। এটি সরকারি অনুদানের ছবি নয়। এখনই কোটি টাকার ওপর বাজেট দাঁড়িয়েছে ছবির।

‘পায়েল’ ছবির কথা বলতে গেলে প্রথম রায়হান খানের কথা বলতে হয়। ছোট পর্দার বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যখন শুনতেন ক্যামেরায় রায়হান খান থাকবেন, তাঁরা গল্পও শুনতে চাইতেন না। কারণ পর্দায় গ্লামারাসভাবে তুলে ধরতে রায়হান খানের জুড়ি নেই। আমিও সেই কথা মাথায় নিয়ে কাজটি করেছি। ‘পায়েল’ শতভাগ ফর্মুলা ছবি। এখানে যেমন আমাকে রোমান্টিক গানে পাওয়া যাবে, তেমনি আইটেম গানেও পাওয়া যাবে। নারীকেন্দ্রিক গল্পের ছবি। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে কাজটি করতে।

আপনার আঁকাআঁকির কী খবর?
শুটিংয়ের ফাঁকে, কাজের অবসরে কিংবা বেড়াতে গেলেও ছবি আঁকি। আমার কাছে সব সময় ছবি আঁকার সরঞ্জাম থাকে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি জমেছে। সব কটি নিয়ে শিল্পকলায় একটি এক্সিবিশন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হল পেলাম না। ভাবছি এর মধ্যে আরেক দিন সময় করে শিল্পকলায় যাব। হলের জন্য আবেদন করব। আশা করছি আগামী বছরের শুরুতে এক্সিবিশনের আয়োজন করতে পারব।

এবারের বইমেলায় বই আসবে?
এবার আমার একটি উপন্যাস আসবে, নাম ‘কাজের মেয়ে’। এরই মধ্যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত করেছি। আশা করছি উপন্যাসটি পাঠকদের ভালো লাগবে।

ছোট পর্দায় কোনো কাজ করছেন না?
আমি কখনো রেসে শামিল হতে চাইনি। ঈদে আমার ৫০টি নাটক থাকতে হবে বা বছরে ১০০ নাটকে অভিনয় করতে হবে—এসব ধ্যান-ধারণা কখনোই ছিল না। সব সময় ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করেছি। এর মধ্যে কয়েকটি নাটকের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে ছবিগুলোর শুটিং-ডাবিং নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে শিডিউল দিতে পারিনি। দেখা যাক, সামনে হয়তো দুই-একটি কাজ করব।

LEAVE A REPLY