যুদ্ধ শেষে প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করবে ইসরাইল

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর চলমান পাশবিকতা শেষ হলে ইহুদিবাদী ইসরাইল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করবে বলে একটি পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশ পাওয়ার পর মোসাদসহ দেশটির কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো লেবানন, তুরস্ক ও কাতারসহ অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় দেশে বসবাসরত হামাস নেতাদের হত্যা করার পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। তেল আবিব ধরে নিয়েছে গাজা উপত্যকায় তার চলমান আগ্রাসনে হামাস পরাজিত হবে এবং এই সংগঠনের সব নেতা ও যোদ্ধা নিহত হবে। এরপর বাকি থাকবে প্রবাসী হামাস নেতারা। যদিও হামাস বলেছে, চলতি যুদ্ধে তাদের বিজয় হবে এবং ইসরাইল সেনারা অপমানজনকভাবে গাজা উপত্যকা ত্যাগ করবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করা হবে কি না ইসরাইলি নেতাদের সামনে এখন আর সে প্রশ্ন নেই বরং তারা এখন এই প্রশ্ন নিয়ে কাজ করছে যে, কবে ও কোথায় তাদের হত্যা করা হবে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে আল-আকসা তুফান অভিযান চালানোর পরপরই ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের প্রবাসী নেতা খালেদ মিশালকে হত্যা করার দাবি ওঠে।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নভেম্বর মাসের শেষদিকে এক বক্তব্যে প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করার আভাস দেন। তিনি বলেন, হামাস নেতারা বিশ্বের যেখানেই থাকুক তাদের হত্যা করার জন্য তিনি মোসাদকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অন্য দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি নেতাদের হত্যা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরাইলের। ১৯৯০-এর দশকে ইসরাইলি গোয়েন্দারা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামাস নেতা খালেদ মিশালকে হত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। অবশ্য ইসরাইলের সর্বশেষ পরিকল্পনাটি সবার সমর্থন লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোসাদের সাবেক পরিচালক এফরাইম হেলভি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পদ্ধতিগতভাবে হামাসের সব নেতাকে হত্যা করার অর্থ হবে প্রতিশোধ গ্রহণ করা; কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন নয়।

LEAVE A REPLY