মাহিয়া মাহি
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন চলচ্চিত্র তারকা মাহিয়া মাহি! সংসদ সদস্য হতে চেয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু গত ৩ ডিসেম্বর তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রার্থিতা মঞ্জুর করায় নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা থাকল না এই নায়িকার।
আজ সোমবার দুপুরে ইসির শুনানিতে অংশ নেন তিনি। শুনানিতে অংশ নেওয়া শেষে মাহি বলেন, ‘আমি বরাবরই যোদ্ধা, যুদ্ধ করেই জিতব আমি।’
আজ দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে নির্বাচন ভবনে আসেন মাহি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী রাকিব সরকার ও আইনজীবী।
যদিও আপিল তথ্যে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। মনোনয়ন ফেরত পাওয়ার পরপরই মাহিয়া মাহি ফেসবুকে তিনবার ‘আলহামদুল্লিল্লাহ’ লিখে পোস্ট দেন।
এর আগে মনোনয়ন বাতিলের খবরের পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘জেদ একটা মারাত্মক ম্যাজিক্যাল জিনিস। আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না, একটা মানুষের পজিটিভ জেদ ওই মানুষটাকে দিয়ে কী কী করাতে পারে।
আপনি কাউকে একবার খাবার নিয়ে খোটা দিন, দেখবেন পরবর্তী সময়ে সে না খেয়ে থাকছে; কিন্তু আপনার কাছে কখনোই খাবার চাচ্ছে না। আপনি কাউকে কোনো একটা নির্দিষ্ট স্থানে অপমানিত করুন, দেখবেন বেশির ভাগ মানুষই সেই জায়গাটায় আর ফিরে যাচ্ছে না। টাকা নিয়ে খোটা খাওয়া মানুষ একদিন টাকার পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেয়। যোগ্যতা নিয়ে খোটা শোনা মানুষ একদিন অভূতপূর্ব যোগ্যতার সহিত ফিরে আসে।’
সেই পোস্টের শেষে জেদকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে বলেছেন নায়িকা।
তিনি লিখেছিলেন, ‘সব মানুষের জেদ থাকা উচিত। তবে সেটা পজিটিভ জেদ। সেটা একটা নির্দিষ্ট কাউকে দেখিয়ে দেওয়ার জেদ। আমিও করতে পারি, এটা প্রমাণ করার জেদ।’
প্রার্থিতা ফেরত পাওয়া কি সেই জেদের ফসল, তা জানা যায়নি। যদিও এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে উপনির্বাচনের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এবারও আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কেনেন।
রাজশাহী-১ মূলত তানোর-গোদাগাড়ী এলাকা। সেখানে বেশ কিছুদিন ধরেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন এই নায়িকা। তাঁর মতে সুষ্ঠু ভোট হলে অবশ্যই তিনি জিতবেন।