কেন্দুয়ার অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারীদের তালিকা চেয়েছেন আদালত

প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনায় কেন্দুয়া উপজেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারীদের তালিকা চেয়েছেন আদালত। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসককে এ তালিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

‘অনুমোদনহীন ১০টি ভাটায় পরিবেশের বারোটা’ শিরোনামে গত ২৬ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ -এইচআরপিবি’র পক্ষে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দুয়া উপজেলায় ১০টি ইটভাটার মধ্যে একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। তা ছাড়া প্রত্যেকটা ভাটাই স্থাপন করা হয়েছে গ্রামের ভেতর ফসলি জমিতে।

কয়েকটি ইটভাটার পাশেই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন না মেনে ও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব অবৈধ ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি হুমকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। এ ছাড়া এসব ভাটায় ইট প্রস্তুতের জন্য কৃষি জমির উর্বর মাটি (টপসয়েল) ব্যবহার করার ফলে কমছে ফসল উৎপাদন।’

LEAVE A REPLY