তানজিকা আমিন । ছবি : সংগৃহীত
শুটিংয়ে আছেন মনে হচ্ছে…
হুম, সকাল থেকেই শুটিং চলছে। ফরহাদ আহমেদের পরিচালনায় ওয়েব ছবি ‘ক্রিমিনাল’। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দীপ্ত প্লেতে ছবিটি মুক্তি পাবে। তিন মেয়েকে নিয়ে গল্প।
আমার সঙ্গে আরো অভিনয় করছেন রুকাইয়া জাহান চমক ও নীল হুরেরজাহান।
নতুন আর কী কী করলেন?
আরেকটি ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছে—‘কালপুরুষ’। পরিচালনা করছেন সালজার, সৈয়দ আহমেদ শাওকীদের টিম থেকে নির্মিত হচ্ছে সিরিজটি। আমি ছাড়াও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী, ইমতিয়াজ বর্ষণসহ অনেকে।
সিরিজটি চরকি থেকে আসবে। এর বাইরে আপাতত কিছু বলা যাবে না।
রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’ও তো করলেন আপনি আর ইমতিয়াজ বর্ষণ। সিরিজটির আপডেট কী? সিরিজটি কি সত্যিই সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে নিয়ে?
আমরা শুটিং শেষ করেছি।
হয়তো খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে। রায়হান রাফী সব সময় সত্য ঘটনা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। হয়তো এই কারণে অনেকে মনে করছেন ‘অমীমাংসিত’ সাগর-রুনির ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছে। আমি ও ইমতিয়াজ স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। দুজনই সাংবাদিক, আমাদের একটা কন্যাসন্তান থাকে।
সাধারণ দর্শক হিসেবে ভাবলে গল্পটা সাগর-রুনিরই মনে হবে। তবে আসলে সেটা কি না তা মুক্তির পরই জানা যাবে।
ইমতিয়াজ বর্ষণের সঙ্গে আপনার নিয়মিত কাজ হচ্ছে। জানেন তো, আপনাদের প্রেমের গুঞ্জন উঠেছে…
একদমই না। ইমতিয়াজ আমার খুব ভালো বন্ধু। নির্মাতারা আমাদের একসঙ্গে কাস্ট করছেন, এর মানে কিন্তু এটা না যে আমাদের তরফ থেকে তাঁদের চাপ দেওয়া হয় বা অনুরোধ করা হয়। গল্পের প্রয়োজনে নির্মাতারা আমাদের একসঙ্গে কাস্ট করেন। আমাদের মধ্যে প্রেম আছে—এমন কথা এর আগেও মিডিয়াতে শুনেছি। বিষয়টি আজ পরিষ্কার করতে চাই। সাধারণত কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত থাকলে ইমতিয়াজ আর আমি একসঙ্গে হাজির হই। মাঝে মাঝে কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত ফেসবুকের স্টোরিতে দিই। এটুকুতেই প্রেম বা ভালোবাসা হয়ে যায় না। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিন্তু বিশেষ কিছু বন্ধু থাকে, যার সঙ্গে সব শেয়ার করা যায়, আনন্দ ভাগাভাগি করা যায়। ইমতিয়াজ আর আমি শুধু তেমনই বন্ধু, এর বাইরে কিছু নয়।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘বকুল ফুলের মালা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হলেন না কেন?
আমি যখন চলচ্চিত্রে শুরু করেছিলাম তখন সময়টা ভালো ছিল না। নানা ধরনের ছবি হতো তখন। বাণিজ্যিক ছবির নামে যা-তা ধরনের ছবি হতো। ফলে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। অনেক নির্মাতা তখন আমাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করার কথা ভেবেছিলেন। তবে আমি আর কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, চলচ্চিত্রের সময়টা ভালো হলে নতুন করে ভাবব।
এখন তো চলচ্চিত্রের মান ও বাজার আগের চেয়ে ভালো। নতুন করে কিছু ভাবছেন?
আগামী বছরেই আমাকে হয়তো নতুন চলচ্চিত্রে দেখা যাবে। গত দুই-তিন বছর আমি নিয়মিত হলে গিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র দেখি। এ বছরও ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’, ‘প্রহেলিকা’, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’সহ আরো কয়েকটি চলচ্চিত্র দেখেছি। এখন ভালো ভালো নির্মাতা এসেছেন চলচ্চিত্রে। ভালো শিল্পীরাও অভিনয় করছেন। তা ছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রের বাজার এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমার মনে হয় আগামী বছর থেকেই ছবির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি নতুন আরো মেধাবী নির্মাতারা হাজির হবেন। আমাদের চলচ্চিত্রের জয়গান সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।