আইসিইউতে ভর্তি অভিনেত্রী তনুজা

অভিনেত্রী তানিশা, মা তনুজা ও কাজল

ষাট দশকের বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জি। এই অভিনেত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে ৮০ বছর বয়সি তনুজাকে। গতকাল বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তনুজা মুখার্জি একজন বহুমুখী ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন; সক্রিয় ছিলেন ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত। তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল ও তানিশার মা। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানা যায়।

চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। চিন্তার কিছু নেই, এখন ভাল আছেন অভিনেত্রী।

njhk
অভিনেত্রী তনুজা মুখার্জি

অভিনেত্রী তনুজার পুরো নাম তনুজা সমর্থ। পরিচালক কুমারসেন সমর্থ এবং অভিনেত্রী শোভনা সমর্থের কন্যা তিনি।

১৯৭৩ সালে পরিচালক সমু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন নূতনের সঙ্গে ‘হামারি বেটিৎ’ (১৯৫০) ছবিতে ‘বেবি তনুজা’ নামে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ‘ছাবিলি’ (১৯৬০) চলচ্চিত্রের তিনি মূল নায়িকা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। ছবিটির পরিচালক ছিলেন তাঁর মা শোভনা। তিনি কিদার শর্মার ‘হামারি ইয়াদ আয়েগি’ (১৯৬১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খ্যাতির শিখরে পৌঁছান।

পরিচালক শহীদ লতিফের ‘বাহারেঁ ফির ভি আয়েঙ্গি’ (১৯৬৬) ছবিতে ‘ওহ্হাসকে মিলে হামসে’ গানের মাধ্যমে তিনি সবার নজর কাড়েন। জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘জিনে কি রাহে’ (১৯৬৯) ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক ব্যবসাসফল হন। ওই বছর তনুজা ‘পয়সা ইয়ে পেয়ার’ ছবির মাধ্যমে ফিল্ম ফেয়ারে সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। ‘হাতি মেরে সাথি’ (১৯৭১) চলচ্চিত্রটি সফলতা লাভ করে। পরবর্তী সময়ে ‘মেরে জীবন সাথি’, ‘দো চোর’, ‘একবার মুসকরা দো’ (১৯৭২), ‘পবিত্র পাপী’ (১৯৭০), ‘ভূত বাংলা’, ‘অনুভব’ ইত্যাদি ছবিতেও তিনি অভিনয় করেন।

 ১৯৬৭ সালে ছবি ‘জুয়েল থিফ’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। ১৯৬৯ সালে ‘পয়সা ইয়ে পেয়ার’ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার পান।

LEAVE A REPLY