হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তনুজা

কাজল ও তনুজা

হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজা। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে প্রবীণ এই অভিনেত্রীকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাতে অভিনেত্রীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। 

অভিনেত্রীর পারিবারিক সূত্র ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আগের চেয়ে এখন সুস্থ। তাই তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তনুজা মুখার্জি একজন প্রবীণ ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।

ষাট ও সত্তরের দশকের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল ও তানিশার মা।

১৯৭৩ সালে পরিচালক সমু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তনুজার। বড় বোন নূতনের সঙ্গে ‘হামারি বেটিৎ’ (১৯৫০) চলচ্চিত্রে ‘বেবি তনুজা’ নামে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।

‘ছাবিলি’ (১৯৬০) চলচ্চিত্রের মূল নায়িকা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন তনুজা। সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন তাঁর মা শোভনা। তিনি কিদার শর্মার ‘হামারি ইয়াদ আয়েগি’ (১৯৬১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খ্যাতির শিখরে পৌঁছান।

পরিচালক শহীদ লতিফের ‘বাহারেঁ ফির ভি আয়েঙ্গি’ (১৯৬৬) সিনেমায় ‘ও হাসকে মিলে হামসে’ গানের মাধ্যমে তিনি সবার নজর কাড়েন। জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘জিনে কি রাহে’ (১৯৬৯) সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক ব্যবসাসফল হন।

ওই বছর তনুজা ‘পয়সা ইয়ে পেয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে ফিল্মফেয়ারে সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। অভিনেত্রীর ‘হাতি মেরে সাথি’ (১৯৭১) চলচ্চিত্রটি তুমুল সফলতা লাভ করে। পরবর্তী সময়ে ‘মেরে জীবন সাথি’, ‘দো চোর’, ‘একবার মুসকরা দো’ (১৯৭২), ‘পবিত্র পাপী’ (১৯৭০), ‘ভূত বাংলা’, ‘অনুভব’ ইত্যাদি সিনেমাতেও তিনি অভিনয় করেন।

 ১৯৬৭ সালে ছবি ‘জুয়েল থিফ’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। ১৯৬৯ সালে ‘পয়সা ইয়ে পেয়ার’ সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার পান তনুজা।

LEAVE A REPLY