এত সাহস কোথায় পায়

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুইটা আগুন দিলে সরকার পড়ে যাবে, অত সহজ না। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে-এত সাহস কোথা থেকে পায়। সামান্য মনুষ্যত্ব থাকলে এরা (বিএনপি) ট্রেনে আগুন দিয়ে ছোট শিশুসহ মাকে পুড়িয়ে অঙ্গার করতে পারত না। এসব বোমাবাজ, অগ্নিসন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনেই হাত পোড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত। অতীতেও অগ্নিসন্ত্রাস নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, এবারও পারবে না। বুধবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত বিশাল নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তফশিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক নির্র্বাচনি প্রচার শুরুর প্রথম দিনে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। 

পরে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও দেশসেবার সুযোগ দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই নৌকা হচ্ছে নূহ নবির নৌকা। এ নৌকা দিয়েই মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন রাব্বুল-আলামিন। এ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার এ নৌকা যখন সরকারে এসেছে, আমরা দেশসেবার সুযোগ পেয়েছি, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেই দেশের উন্নতি হয়, আমরা তা প্রমাণ করেছি। এ সময় জনসমুদ্রের সামনে প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন কি না-জানতে চাইলে জনসভায় উপস্থিত লাখ লাখ মানুষ দুহাত তুলে তাদের সম্মতির কথা জানান এবং নৌকা মার্কার গগনবিদারি স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।

আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘কুলাঙ্গার’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত। তারা মনে করেছে, দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ না। অত ভাত দুধ দিয়ে খায় না। যারা লুটেরা, খুনি, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, তারাই এ দেশের মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। 

যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে, সেটা হলো-আজ সব জায়গায় বোমাবাজি, খুন আর অগ্নিসন্ত্রাস এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর আগামী নির্বাচনে আমরা যাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী দিয়েছি, তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনাদের কাছে সেটাই আমার আহ্বান। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা লুটেরা, খুনি, মানুষ হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, তারাই (বিএনপি) এ দেশের মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে-এত সাহস কোথা থেকে পায়।

মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এভাবে আগুন নিয়ে মা-সন্তানকে পোড়াতে পারে : বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে জনসভায় উপস্থিত মানুষের উদ্দেশে শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন-মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এভাবে আগুন দিয়ে মা-সন্তানকে পোড়াতে পারে। তিনি বলেন, আজ আগুন দিয়ে বাস পোড়াচ্ছে, রেল পোড়াচ্ছে। 

২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকাতে অগ্নিসংযোগ করে গাড়ি পোড়ায়। তাদের আগুনে ৩ হাজারের মতো মানুষ পুড়ে যায়। পাঁচশর মতো মানুষ মারা যায়। তবে অগ্নিসংযোগ করে তারা ২০১৩ সালের নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এলো। কিন্তু ভোট করবে কী? ওই লন্ডনে বসে একটা নমিনেশন দেয়। গুলশানে বসে একটা দেয়, আর পল্টনে বসে আরেকটা। 
নমিনেশন বাণিজ্য শুরু করে দিল। এই সিলেটেও বাণিজ্য করেছে। বাণিজ্য করেই তাদের নির্বাচন শেষ। দোষ কার? দোষ তো তাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রশ্ন করে বলেন, বিএনপির চেয়ারম্যান কে? মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা, অস্ত্র চোরাকারবারি এবং দুর্নীতিবাজ। তাদের দুর্নীতির সাক্ষী এফবিআই দিয়ে গেছে। কোনোদিন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে। আর এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়। এটা হলো তাদের চরিত্র।

২০০১ সালে গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি : জিয়াউর রহমানের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা গণমানুষের দিকে তাকায়নি। মানুষের কল্যাণ করেনি। তারা লুটপাট, জনগণের ভোট চুরি-এই চুরি করাটাই ছিল তাদের কাজ। তারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো কাজ করেনি। সেটা করলে অনেক আগেই বাংলাদেশের উন্নতি হতে পারত। তারা এসেছিল ক্ষমতাকে ভোগ করতে। দেশে ফিরে এসে আমি দেখেছি কীভাবে ক্ষমতা ভোগ করে কুক্ষিগত করে রাখে। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতায় আনা হলো বিএনপিকে। ভোট চোর, জনগণের সম্পদ চোরকে ক্ষমতায় বসাল ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। যে কারণে তার পিঠে বাহবা দিয়ে ক্ষমতায় বসাল। ফল হলো-দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি আর দুঃশাসন।

নতুন করে গ্যাসের সঙ্গে তেল পাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যে কূপ খনন করে গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে আমরা সেই কূপ খনন করে কেবল গ্যাস নয়, তেলও পেয়েছি। আল্লাহ জন বুঝেই ধন দেয়। আল্লাহ জানেন, ওদের কাছে দিলে সব নয়ছয় করবে। আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে। ঠিক কিনা বলেন? 

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলব, যা টেকসই অর্থনীতি, মেধাভিত্তিক শিক্ষা, উন্নত সমাজ, ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ, স্বচ্ছ বাংলাদেশ হবে। 

সরকারপ্রধান বলেন, সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দেশের মানুষ বারবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সিলেট অঞ্চলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটবাসী সব সময় আমাদের পাশে আছে। আমরা সিলেটে যত উন্নয়ন করেছি, জানি না সিলেটবাসী সেটা মাথায় রাখবেন কিনা? সিলেটে মেট্রোরেল স্থাপনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারই সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত, রেলস্টেশন নির্মাণ করেছে। এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে। ১০০ বেডের বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। এই সিলেটে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও আমরা করে দিয়েছি। 

ভোটে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই : এর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ হরতাল-অবরোধ চায় না, তারা নির্বাচন চায়। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালেও একই কাজ করেছে। এবারও তারা হরতাল দিয়েছে, মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তাদের বোঝা উচিত, এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। কিন্তু সেখানে আমরা কী দেখলাম? রেলে আগুন দিল, একটা মা সন্তানকে নিয়ে সেই আগুনে পুড়ে মারা গেল। এর চেয়ে কষ্টের দৃশ্য আর হতে পারে না। নারী-শিশুর ওপর হামলা, জজ, সাংবাদিক, পুলিশের ওপর হামলা কোন ধরনের রাজনীতি? এ কথা বলার সময় গলা ধরে আসে শেখ হাসিনার। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে এলে জনগণের কল্যাণ হয়। সেজন্য আবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমি সিলেটে এসেছি। এখানে এখন কোনো ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেক গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষকে আমরা ঘর করে দিতে পেরেছি। 

মানুষের মৌলিক চাহিদা আমি পূরণ করে যাচ্ছি। যেটুকু বাকি আছে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে নির্বাচন, বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার যদি সরকার গঠন করতে পারি, পুরো বাংলাদেশকেই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করব।

বিএনপি খেলায় নেই, পালিয়ে গেছে-ওবায়দুল কাদের : আওয়ামী লীগের জনসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি খেলায় নেই, পালিয়ে গেছে। খেলায় আছে ১৮৯৬ জন। খেলা হবে ৭ জানুয়ারি। প্রস্তুত আছেন? সিলেটের খবর কী? বিএনপি কই? পালিয়ে গেছে না? 

তিনি বলেন, বিএনপি ভুয়া। তাদের হরতাল ভুয়া, তাদের রাজনীতি ভুয়া। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও ধর্মঘট-সব ভুয়া। এ সময় বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে সেই আগুনে আপনাদেরই পুড়তে হবে। মা তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আগুনে পুড়ে গেছে। এ কাজ কে করেছে? বিএনপি করেছে।

একসঙ্গে থাকবেন, ঝগড়া করবেন না : নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসঙ্গে থাকবেন, ঝগড়া করবেন না। স্বতন্ত্র তার নির্বাচন করবেন, নৌকা নৌকার নির্বাচন করবে। কারও সঙ্গে কারও ঝগড়ার দরকার নেই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্রদেরও নেত্রী প্রার্থী হতে বলেছেন। এতে কারও কিছু হারানোর নেই। নৌকার নিজের শক্তি আছে, ভয় পান কাকে? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি যদি এলাকায় এমপি থাকতে নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেন, তখন সেখানে স্বতন্ত্র ঢুকে গেলে আমরা কী করব? কী করার আছে আমাদের? কাজেই নৌকার ইজ্জতও নৌকার প্রার্থীদের রাখতে হবে।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, হবিগঞ্জের সভাপতি আবু জাহির, মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, সংসদ-সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারওয়ার প্রমুখ। সভামঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, শেখ হেলাল এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশ মঞ্চে সিলেট বিভাগের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি, মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা ছিলেন।

LEAVE A REPLY