তৈরি পোশাক কারখানা। ফাইল ছবি
তৈরি পোশাক খাতে নতুন মজুরি যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে গার্মেন্টস মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের শুরু থেকে নতুন ন্যূনতম মজুরি অনুযায়ী মজুরি প্রদান করতে হবে। এটি আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হলেও যথাসময়ে তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
’
শিল্প মালিকদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সরকার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির চূড়ান্ত গেজেট গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করেছে। গেজেট অনুযায়ী নতুন মজুরি ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং শ্রমিকরা নতুন বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরুতে নতুন মজুরি পাওয়া শুরু করবে। বর্তমানে পোশাক কারখানাগুলো ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন মজুরি অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিজিএমইএ নতুন মজুরির ব্যবস্থা এবং পরিবর্তনগুলো সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর কাছে স্পষ্ট করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এখন পর্যন্ত আমরা মোট এক হাজার ৩০০ কারখানার এক হাজার ৯০০ জন অংশগ্রহণকারীকে (ফ্যাক্টরি পারসোনেল) জন্য ১৩টি কর্মশালা (প্রতিটি অর্ধদিনব্যাপী) সম্পন্ন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আগেই আপনাদের বলেছি যে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি এবং উন্নত অর্থনীতিগুলো কর্তৃক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলো মূল্যরেখাকে নিচে নামানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং অন্যদিকে আমাদের উৎপাদন ব্যয় অত্যধিক হারে বাড়ছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, পরিবহন ব্যয়ের মুহুর্মুহু বৃদ্ধি ও অন্যান্য ব্যয়ের কারণগুলো উৎপাদন ব্যয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখছে। এই বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি রোধে সুদ বাড়িয়েছে, যা আমাদের অর্থায়ন ব্যয়কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় আরো বেড়েছে।
এ ছাড়া পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ব্যাংক চার্জ, ফিসহ বিভিন্ন নিবন্ধন ও সার্টিফিকেশন ফি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এত ব্যয় বৃদ্ধির পরও সময়মতো মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।’