শতকোটি টাকার মালিক নির্বাচনের ১৮ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে) মালিক। এর মধ্যে ১০ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।   

শতকোটি টাকার মালিক ১৮ প্রার্থী নির্বাচনে

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র : জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শীর্ষক এই বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি তথ্যচিত্র তৈরি করে। ওই তথ্যচিত্র অনুযায়ী, ১৮ জনের মধ্যে সবার ওপরে আছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তাঁর সম্পদের (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে) মূল্য এক হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার বেশি। এই তালিকায় আছেন একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর ছেলে গাজী গোলাম মূর্তজা।

তাঁর সম্পদমূল্য ২৩৩ কোটি টাকা।

টিআইবি জানায়, এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী। গত ১৫ বছরের ব্যবধানে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে ২১ শতাংশ। শুধু ব্যবসায়ী প্রার্থী নয়, বেড়েছে বছরে এক কোটি টাকা আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যাও।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৬৪ জন প্রার্থী বছরে কোটি টাকা আয় করেন। তবে কোটি টাকার কম আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫.৩০ শতাংশ। এ ছাড়া এবার প্রায় ২৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদমূল্যের ভিত্তিতে) বলে জানায় টিআইবি।

১০০ কোটির প্রার্থীরা

দস্তগীর গাজী ছাড়াও যেসব প্রার্থীর শতকোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান। তাঁর সম্পদমূল্য ৪২১.১৬ কোটি টাকা।

শতকোটি টাকার মালিক ১৮ প্রার্থী নির্বাচনে

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপর আছে ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালমান এফ রহমানের নাম। তাঁর সম্পদমূল্য ৩১৫.৭৬ কোটি টাকা। কুমিল্লা-৮ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিনের সম্পদমূল্য ৩০৬.৬৮ কোটি টাকা। কুমিল্লা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের সম্পদমূল্য ২৭৭.৬১ কোটি টাকা।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়ালের সম্পদমূল্য ২৭৬.১৯ কোটি টাকা। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সম্পদমূল্য ২৫৩.২৪ কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী গোলাম মূর্তজার সম্পদমূল্য ২৩৩ কোটি টাকা। তিনি বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে। বাবার আসনে ‘ডামি’ প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নরসিংদী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সম্পদমূল্য ১৭৪.০১ কোটি টাকা।

ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সম্পদমূল্য ১৬৩ কোটি টাকা। ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) সম্পদমূল্য ১৫৬.৩৯ কোটি টাকা। গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফরুজা বারীর সম্পদমূল্য ১৫৪.৬৬ কোটি টাকা। তবে এই আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় আফরুজা বারী নির্বাচন করছেন না।

কুমিল্লা-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিমা আহমাদের সম্পদমূল্য ১৫২.২৮ কোটি টাকা। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগমের সম্পদমূল্য ১৩০.৪২ কোটি টাকা। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল্লাহর সম্পদমূল্যও ১৩০.৪২ কোটি টাকা।

কুমিল্লা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সম্পদমূল্য ১০৪.১৭ কোটি টাকা। জামালপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূর মোহাম্মদের সম্পদমূল্য ১০২.৩৭ কোটি টাকা। মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের সম্পদমূল্য ১০০.৪৫ কোটি টাকা।

শতকোটি টাকার মালিক ১৮ প্রার্থী নির্বাচনে

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ৮২% কোটিপতি

টিআইবির তথ্যচিত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ৮২ শতাংশ কোটিপতি। আর স্বতন্ত্র নির্বাচন করা প্রার্থীদের প্রায় ৪৭ শতাংশ কোটিপতি। কোটিপতি প্রার্থীর মোট সংখ্যা ৫৭১। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩৫ জন।

নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাত্র ২৭ শতাংশের কিছু বেশি প্রার্থী ছিলেন কোটিপতি। ১৫ বছরের ব্যবধানে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ শতাংশে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, দেশের আইনে (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট ২০২৩) কোনো ব্যক্তির ভূমির মালিকানা পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষিজমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অকৃষিজমিসহ যা ১০০ বিঘা) বেঁধে দেওয়া হলেও অনেক প্রার্থীর নামেই বড় আকারের ভূমির মালিকানা রয়েছে।

হলফনামার তুলনামূলক হিসাব বলছে, একাদশ সংসদের সদস্যদের কারো কারো আয় সর্বোচ্চ ২ হাজার শতাংশের বেশি বেড়েছে। পাঁচ বছরে এমপিদের আয় বেড়েছে গড়ে ২,২৩৮ শতাংশ। ১৫ বছরে এই হার ৭,১১৬ শতাংশ ৷

এ ছাড়া পাঁচ বছরে এমপিদের নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে ২,৪০৯ শতাংশ। আর ১৫ বছরে এই হার ২,৪০৯ শতাংশ।

টিআইবি যা বলছে

প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আয় ও সম্পদ এবং ঋণ ও দায় বিবরণী কতটা সঠিক ও পর্যাপ্ত এবং আয় ও সম্পদ কতটা বৈধ উপায়ে অর্জিত তা যাচাইয়ের সুযোগ থাকলেও করা হয় না বলে জানায় টিআইবি। হলফনামায় প্রার্থীরা নিজেদের অর্জিত সম্পদ কতটা দেখিয়েছেন, পুরোটা দেখিয়েছেন কি না কিংবা দেশে বা বিদেশে সম্পদ আহরণের তথ্য গোপন করেছেন কি না, তা যাচাই যেমন অনিবার্য, তেমনি যে আয় ও সম্পদ অর্জনের তথ্য হলফনামা বিশ্লেষণে পাওয়া যাচ্ছে তা বৈধ আয়ের সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ—এ বিষয়গুলো যাচাই সাপেক্ষে জবাবদিহি নিশ্চিতের কোনো উদ্যোগ নেই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।

নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও রাজস্ব বিভাগ প্রার্থীদের ‍হলফনামার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সেগুলো যাচাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করবে—এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। 

এ সময় নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামার চিত্র তুলে ধরেন গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এক হাজার ৮৯৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৮ শতাংশ, যার সংখ্যা ৩৪৭। আর দলীয় প্রার্থী ৮২ শতাংশ।

তিনি বলেন, গত চার নির্বাচনের তুলনায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ১৪০ জন, দশমে ১০৫ জন, একাদশে ১৩৪ জন। উল্লেখ্য, এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

এক মন্ত্রীর বিদেশে ২,৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা

সরকারের মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর বিদেশে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে বলে দাবি করেছে টিআইবি। তিনি নির্বাচনী হলফনামায় ওই তথ্য দেননি। টিআইবি ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি। সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ চাইলে তথ্য-প্রমাণসহ তাঁরা সব কিছু সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছেন টিআইবির কর্মকর্তারা।

তবে হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য পর্যাপ্ত কি না বা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। টিআইবি জানিয়েছে, তাদের প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কম্পানি এখনো বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এসব কম্পানির মোট সম্পদমূল্য প্রায় দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা। 

১৩.৬৬ শতাংশ প্রার্থী স্বশিক্ষিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৩.৬৬ শতাংশ প্রার্থীই স্বশিক্ষিত বলে উঠে এসেছে হলফনামা বিশ্লেষণে। প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। এর মধ্যে স্নাতক সবচেয়ে বেশি—২৯.৪১ শতাংশ, স্নাতকোত্তর ২৭.৫৭ শতাংশ।

১৩.৬৬ শতাংশ প্রার্থী স্বশিক্ষিত। আর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন এমন প্রার্থী ১১ শতাংশ এবং মাধ্যমিক পাস করেছেন ৯ শতাংশের কিছু বেশি।

৫৭ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী

৫৭.৩৪ শতাংশ প্রার্থীর মূল পেশা ব্যবসা। আইন ও কৃষিকাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন যথাক্রমে ৯.১৭ ও ৭.৮১ শতাংশ প্রার্থী।

এর পরই রয়েছেন চাকরিজীবী—৫.১৬ শতাংশ, শিক্ষক ৪.৯৫ শতাংশ। রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ২.৮৬ শতাংশ প্রার্থী।

অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২.৭১ শতাংশ, চিকিৎসক ২.১৯ শতাংশ, সাংবাদিক ০.৮৩ শতাংশ, গৃহস্থালি ০.৬৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬.৩০ শতাংশ।

এখন সম্পদের বৈষম্য থাকাটাই নিউ-নরমাল : টিআইবি

নির্বাচনী হলফনামার বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এবারের নির্বাচনের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বড় আকারে অংশগ্রহণ; সংখ্যার বিচারে যা গেল চার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি। যদিও এর বড় অংশই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের বাইরে থাকা বা বিদ্রোহী প্রার্থী। কোনো দলই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়নি, তবে শতভাগ আসনেই কমপক্ষে এক বা অনেক ক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের সদস্য বা সমর্থনপুষ্ট।

সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশে ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। দারিদ্র্যের স্তরও খুব বেশি বাড়াতে পারিনি। আমরা আসলে দুটি সমাজ তৈরি করছি, যার মধ্যে একটি সমাজ অনেক সম্পদশালী, আরেকটা সমাজ দিন এনে দিন খায় অবস্থার মধ্যে আছে। এ রকম একটি পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে।’

সুলতানা কামাল বলেন, ‘মন্ত্রী-এমপিদের যে হারে সম্পদ বাড়ছে, সেটা দেখে অনেক সময় নিজের কাছেই অবাস্তব মনে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন সম্পদের বৈষম্য থাকাটাই নিউ-নরমাল হয়ে গেছে। কিন্তু এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভাবধারার বিষয় ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সাম্যের জন্য।’

টিআইবির ড্যাশবোর্ড

জনগণের জানার জন্য টিআইবি ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’ শীর্ষক একটি ড্যাশবোর্ড তৈরি করেছে। এই ড্যাশবোর্ডে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ছয় হাজার হলফনামার আটটি তথ্যের বহুমাত্রিক-তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই ইন্টার-অ্যাকটিভ ড্যাশবোর্ড থেকে ঘরে বসেই ভোটাররা নিজ এলাকার প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

টিআইবির তৈরি করা নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র তুলে ধরেন এই গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY