যে ৬ হাজার সেনা নিয়ে বেকায়দায় ইসরাইল

অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবারও শুধু সকালের হামলাতেই উত্তর গাজার বেতলাহিয়া, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস ও মধ্য গাজার মাগাজি অঞ্চলে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে সংঘাত পরিচালনা করতে গিয়ে যুদ্ধে প্রায় ৫০১ সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। 
প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে দ্যা টাইমস অব ইসরাইলে প্রকাশিত বলা হয়, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

এই ৫০১ সেনা ছাড়াও ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর ৫৭ কর্মকর্তা ও সদস্যও নিহত হয়েছেন। 

আর নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের প্রায় ১০ সেনা নিহত হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ সেনা নিহত হয়েছেন ৭ অক্টোবর। ওই দিনই হামাসের হামলায় ৩০০-এর বেশি সেনা নিহত হন বলে আইডিএফ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে।

আর গত ৮৩ দিন ধরে চলা গাজার যুদ্ধে এই সংখ্যাটি ক্রমাগত বেড়েছে। নিহতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যাও বাড়ছে সমান হারে। এ পর্যন্ত ৬ হাজার আহত সেনা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে ইসরাইল। কারণ তাদের মধ্যে অনেকেই এখন আর যুদ্ধে অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে, যুদ্ধ ক্ষতের কারণে।

হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালানোর সময় সীমান্তবর্তী ইসরাইলি সামরিকঘাঁটিগুলোতে প্রবেশ করে সৈন্যদের ব্যাপকভাবে হত্যা করে। আর যেসব সৈন্য পালাতে গিয়ে লাফিয়ে পড়েছিল, তারা আহত হন।

ইসরাইলি বাহিনীর টানা দুই মাসের বেশি সময়ের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।

সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন।

LEAVE A REPLY