ছবি: পিটিআই।
নতুন বছরের শুরুতে আবার উতপ্ত মণিপুর। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে আরো একবার রক্তপাতের ঘটনা ঘটল। মণিপুরের থৌবল জেলায় সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার পর রাজধানী ইম্ফলসহ উপত্যকার পাঁচ জেলায় অর্নিদিষ্ট কালের জন্য কার্ফু জারি করেছে মণিপুর সরকার।
থৌবল ছাড়াও তালিকায় রয়েছে, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর এবং ককচিং। ঘটনার পর পাহাড়ি অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বুলেটের আঘাতে তিনজন মারা গেছেন এবং অন্য পাঁচজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।’ ভুক্তভোগীদের পরিচয় বা সন্দেহভাজন হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
স্থানীয় খবরে বলা হয়েছে, হামলার পর দুষ্কৃতীকারীদের ব্যবহার করা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ অধিবাসীরা।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা এন বীরেন সিংহ যুযুধান স্থানীয়দের সংযত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন এবং মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। গত ৩ মে থেকে জাতিগত সহিংসতার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল।
তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই এবং সংখ্যালঘু কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার থৌবাল জেলার লিলং এলাকা থেকে সর্বশেষ এই সহিংসতার খবর পাওয়া য়ায, যখন ছদ্মবেশী একটি দল স্থানীয়দের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী মণিপুর ভারতের সবচেয়ে ছোট রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। যার জনসংখ্যা ৩২ লাখ।
বাসিন্দাদের মধ্যে ১৬ শতাংশ কুকি। যারা পাহাড়ে বাস করে এবং সরকারি চাকরি এবং শিক্ষার জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা ও কোটা পায়। অন্যদিকে ৫৫ শতাংশ মেইতেই জনগণ সমৃদ্ধ নিম্নভূমি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বছর ঘুরে গেলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে সংঘর্ষ থামেনি।
সূত্র: আনন্দবাজার, রয়টার্স