এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে যা জানা গেছে

মর্টার নিয়ে অভিযানে ইসরায়েলের সেনা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ২৯ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে গাজা অভিযানে। এর মধ্যে ১৮ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনা অথবা নিজেদের ছোড়া গুলি বা বোমায়। ইসরায়েলের দাবি, গাজায় যে একই সঙ্গে স্থল অভিযান ও আকাশ থেকে বোমা বর্ষণও করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে।

ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলার আঘাতেও নিজেদের সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এমন দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৮ সেনার।

এদিকে বেশ কিছু সেনাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বলা হয়েছে।

যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে তারা যাতে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘অভিযান শেষ হতে সময় লাগবে। তাই সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ২০২৪ সালজুড়ে গাজা অভিযান চলবে।

হামাসকে খতম না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।’

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু এবং নারীর সংখ্যা বেশি। প্রবল খাদ্যসংকটের পথেও এগোচ্ছে গাজা। এর মধ্যে খানিকটা স্বস্তির খবর হলো, শিশুদের ভ্যাকসিন ঢোকার অনুমতি পেয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, অন্তত ছয় লাখ টিকা গাজায় ঢুকেছে। এর মধ্যে পোলিও জাতীয় রোগের ভ্যাকসিনও আছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই টিকা কিনেছে। এরপর জাতিসংঘের মাধ্যমে তা গাজায় পাঠানো হচ্ছে। রুবেলা, মাম্পসের মতো অসুখের টিকাও আছে এর মধ্যে।

তবে ভ্যাকসিন দেওয়া সহজ নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, অধিকাংশ মানুষ বাড়ি ছেড়ে ক্যাম্পে গিয়ে বসবাস করছে। ফলে কোন অঞ্চলে এর আগে কত টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই হিসাব এখন পাওয়া মুশকিল। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার সর্বত্র ভ্যাকসিন নিয়ে পৌঁছনোও এখন প্রায় অসম্ভব। কারণ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল সংঘাত চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২৪৬।

LEAVE A REPLY