বিশ্বাসই বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে

নিগার সুলতানা। ফাইল ছবি

প্রশ্ন : মনেরাখার মতো একটি বছর কাটিয়েছেন আপনারা। সে প্রসঙ্গে আসার আগে নতুন বছরের প্রত্যাশা নিয়ে জানতে চাই।
নিগার সুলতানা : প্রথমত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আমাদের আন্তর্জাতিক খেলা নেই। মার্চের শেষে অস্ট্রেলিয়া আসবে, এর আগে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটই খেলব।

যেহেতু বছরের শেষ দিকে আমাদের এখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, ঘরোয়া ক্রিকেটও সেভাবে সাজানো হবে বলে মনে হয়। যত বেশি খেলতে পারব, তত আমরা এই সংস্করণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব।

প্রশ্ন : সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা যে রকম ক্রিকেট খেলছেন, বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই অনেক আশা থাকবে?
নিগার : আমরা যত বিশ্বকাপ খেলেছি, ২০১৪ ছাড়া আর সব কটিতে ভালো ক্রিকেট খেললেও কখনো ম্যাচ জিততে পারিনি। কোনো বিশ্বকাপের আগে বলতে গেলে আমরা সে রকম মানসম্পন্ন প্রস্তুতি নিতে পারিনি।

এবারই প্রথম আমাদের ভালো প্রস্তুতি হবে, যেহেতু আমরা এফটিপির মধ্যে আছি। ঘরের মাঠে খেলা, প্রত্যাশার চাপ–এসব থাকবেই। তবে আমাদের প্রস্তুতি বলে দেবে আমরা বিশ্বকাপে কেমন খেলব। আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা আছে।

তবে আমি চাই, আমরা যেন আগে একটি ম্যাচ জিতি।

প্রশ্ন : এবার ২০২৩ সালে সাফল্যের রহস্য বলুন।
নিগার : দলের বিশ্বাসের জায়গাটি অনেক বেশি সহায়তা করেছে। এই দল একসঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছে, আমাদের বোঝাপড়া তাই বেশ ভালো। দলটি পরিশ্রম করতে খুব বেশি পছন্দ করে।

আমরা বিশ্বাস করি, যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, যেকোনো ম্যাচে, যেকোনো দলের বিপক্ষে ফল পাব। একসময় ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভালো পারফরম্যান্স ছিল, যেটি এখন দলীয় পারফরম্যান্সে রূপ দিতে পেরেছি আমরা। ভারত সিরিজে আমরা ভালো অবস্থার মধ্যে ছিলাম। সেই ধারাবাহিকতার ছাপ ছিল এশিয়ান গেমস ও পাকিস্তান সিরিজে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে দুটি সিরিজই জয়ের সুযোগ ছিল। হয়তো বা ওখানে খেলার মতো ওই লেভেলের অভিজ্ঞতা ছিল না বলে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে।

প্রশ্ন : ব্যাটিং সব সময় আপনাদের একটি চিন্তার জায়গা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়েও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায়…
নিগার : সত্যি কথা বলতে, ওখানে উইকেটের বড় ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশে কিংবা উপমহাদেশে আমরা যেসব উইকেটে খেলি সেটি ব্যাটিংবান্ধব হয় না। চাইলেও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ব্যাটিং করা যায় না। সেখানে অনেক ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। এমনিতে আমাদের ব্যাটিং কিন্তু খারাপ না। হয়তো বা ভালো উইকেট না পাওয়ার কারণে সেভাবে চোখে পড়েনি। তার পরও বলব, ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। যেমন–নিয়মিত প্রান্ত বদল করতে পারা, ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা। তাহলে তো দলেরও লাভ।

প্রশ্ন : দক্ষিণ আফ্রিকায়ও দেখা গেছে একজন পেসার নিয়ে খেলেছেন। স্পিনের ওপর কি অতি নির্ভরশীলতা হয়ে যাচ্ছে না?
নিগার : আমরা সাত মাস ধরে বাংলাদেশ বা এশিয়ার ভেতরে ক্রিকেট খেলেছি। এখনকার উইকেটগুলো স্পিন সহায়ক। এসব উইকেটে তো আপনি স্পিনারদের ওপরই বেশি নির্ভর করবেন। যার কারণে পেসাররা খুব একটা সুযোগ পায়নি। এখন একজন পেসারকে তৈরি না করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামিয়ে দিলে তার নিজের জন্যই তো কঠিন। 

LEAVE A REPLY