সোমালিয়া উপকূলের কাছে ‘এমভি লিলা নরফোক’ নামে একটি কার্গো জাহাজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিনতাই হয়েছিল। অবশেষে ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজটি উদ্ধার করেছে। তবে তারা জানিয়েছে জাহাজে কোনো জলদস্যু খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারতীয় জাহাজ ছিনতাই হয়েছে, এমন একটি প্রতিবেদন পাওয়ার এক দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ লাইবেরিয়ান-পতাকাযুক্ত এমভি লিলা নরফোক বাল্ক ক্যারিয়ারকে আটকে দেয়।
ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এজেন্সির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার প্রায় পাঁচ থেকে ছয়জন সশস্ত্র লোক জাহাজটিতে উঠে যায়। জাহাজের ক্রুরা একটি স্থানে লুকিয়ে পড়েছিল। সংবাদ পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী ছিনতাই হওয়া জাহাজ উদ্ধারে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, জাহাজে থাকা ১৫ জন নাবিকসহ ২১ জন ক্রুকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
নৌবাহীনি জাহাজটি যেন পুনরায় যাত্রা শুরু করতে পারে সেই চেষ্টা করছে।
ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যাম্ব্রে জানিয়েছে, জাহাজটি বাহরাইনে খলিফা বিন সালমানের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে জাহাজটি কী বহন করছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। নৌবাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতীয় নৌবাহিনী ও সামুদ্রিক টহল বিমান সতর্ক করার পরেই জলদস্যুদরা ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টা সম্ভবত পরিত্যাগ করেছিল।
’
এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে। এডেন উপসাগর ও আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই ও অপহরণ চেষ্টা ছয় বছরের স্থবিরতার পর ডিসেম্বরে আবার শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জলদস্যুতা বিরোধী নৌ বাহিনী, প্রতিবেশী লোহিত সাগরের দিকে তাদের দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে। মূলত সেখানে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ ঠেকাতে কাজ করছে। ফলে এই অঞ্চলে জলদস্যুরা তৎপর হয়ে উঠেছে।
‘ইন্ডিয়ান নেভির ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার’-এর তথ্য অনুসারে গত ডিসেম্বরে অন্তত তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে এই ধরনের ঘটনা ২০১৭ সালে ঘটেছিল।
সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া