‘গাজায় আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত হচ্ছে’

গাজা যুদ্ধে জড়িত সব পক্ষ আন্তর্জাতিক আইনকে ‘পদদলিত করছে’ বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। ছবি : সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বুধবার গুতেরেস বলেন, যুদ্ধরত সব পক্ষ আন্তর্জাতিক আইনকে ‘অবজ্ঞা করছে’, জেনেভা কনভেনশনকে ‘পদদলিত করছে’ এবং এমনকি ‘জাতিসংঘ সনদেরও লঙ্ঘন করছে’।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ওইসব বেসামরিক লোকজনের পাশে আছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যাদের হত্যা করা হয়েছে ও আহত হয়েছে, বোমা বর্ষণ করা হয়েছে, বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে এবং যাদের কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি গাজায় দ্রুত মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে একটি প্রক্রিয়ার কথা বলছি, যা ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য টেকসই শান্তি নিয়ে আসবে।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাতিল করে দিয়ে বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করা এবং গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে হামাসের ধরে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।

৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চলায় হামাস। যার জবাবে গাজায় তীব্র বিমান হামলা শুরু করে, ইসরায়েল এরপর শুরু করে স্থল অভিযান। গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলা এই হামলায় গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই নিজ নিজ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। খাবার, পানি, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্যপণ্যের মারাত্মক সংকটে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

যেখানে ত্রাণ কার্যক্রমও ঠিকমতো পরিচালিত হতে দেওয়া হচ্ছে না। গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্ত দাঁড়িয়ে আছে বলে আগেই সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

ইসরায়েল শুরুতে গাজার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালায়। গাজাসহ ছোট্ট এই ভূখণ্ডটির উত্তরের বেশির ভাগ অংশ এখন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

তারা এখন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযানের দিকে অধিক মনোযোগ দিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

LEAVE A REPLY