ইয়েমেনের প্রধান তেল বন্দরে দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর আল-মাশিরা টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়। এদিনের হামলা দেশটির প্রধান তেল বন্দর রাস ইসাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। তবে এ হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে শুক্রবার এডেন উপসাগরে ব্রিটেনের এক তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হুথিরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ওই তেলবাহী ট্যাঙ্কারটিতে আগুন ধরে যায়।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, আগের দিন সন্ধ্যায় ইয়েমেনের নৌবাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ব্রিটিশ তেল ট্যাঙ্কার মার্লিন লুয়ান্ডা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবারের এই হামলার পর মার্লিন লুয়ান্ডা নামের জাহাজটির ডানপাশে আগুন লেগে যায়। শনিবারও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। জাহাজটিতে ২২ জন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশি ক্রু রয়েছেন। জাহাজটির কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন পাওয়ার পর দ্রুত সাড়া দিয়েছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিশাখাপত্তম। যুদ্ধজাহাজটি তেলবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। হুথিদের হামলার প্রায় আট ঘণ্টা পর শনিবার ভোরে হুথিদের একটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
এ বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, তারা শনিবার ভোরে হুথিদের ওপর আরেকটি হামলা চালিয়েছে। ‘লোহিত সাগরে লক্ষ্য করে জাহাজবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত ছিল’ বলেও উল্লেখ করে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে সেন্টকম আরও জানায়, ‘পরবর্তী সময়ে বাহিনী আত্মরক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে আঘাত করে ধ্বংস করেছে।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া বাণিজ্য জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। হুথিদের এই হামলা ঠেকাতে একটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নেতৃত্বে ১০-জাতি ‘বহুজাতিক নিরাপত্তা উদ্যোগে’ যোগদানকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, সিসিলি ও বাহরাইন অন্যতম।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার প্রতিবাদে গত ১১ জানুয়ারি থেকে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে যৌথ হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
