সংগৃহীত ছবি
কোরিয়ান বিউটি ইন্ড্রাস্ট্রি বর্তমান বিশ্ব কাঁপাচ্ছে। কে-ড্রামা, কে-পপ এর পাশাপাশি কোরিয়ান রূপচর্চার বিভিন্ন প্রসাধনী বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোরিয়ানরা তাদের ত্বকের যত্নের পিছনে যথেষ্ট সময় দেন। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ধারাবাহিকভাবে মেনে চললে আপনিও পেতে পারেন কোরিয়ানদের মতো স্ব্যাস্থজ্জ্বল ত্বক।
জেনে নিন কোরিয়ান বিউটি হ্যাকসগুলো-
স্টিম সেশন
কোরিয়ানদের ত্বক পরিচর্যায় স্টিম সেশনের ভূমিকা অনেক। স্টিম সেশন মূলত ত্বকের পোরসগুলো পরিষ্কার করে। গরম ভাপের সাহায্যে সম্পাদিত এ স্টিম সেশনে ত্বকের ভেতরের জমে থাকা ময়লা বের হয়ে যায়।
মুখের ব্যায়াম
ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে কোরিয়ানরা বিভিন্ন ধরনের মুখের ব্যায়াম করে থাকেন।
বিশেষ করে ত্বককে টানটান রাখতে ফেস রোলার দিয়ে নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসাজ করে তারা নিয়মিত। এতে মুখের রক্ত চলাচল প্রবাহ বাড়ে এবং ত্বককে বলি রেখা পড়া থেকে বাঁচায়।
ডাবল ক্লিনজিং
ত্বক পরিষ্কার রাখতে কোরিয়ান এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকারী। সারাদিন জমে থাকা মুখের ময়লা, মেক-আপ, সানস্ক্রিন এর অবশিষ্টাংশ ডাবল ক্লিজিং এর মাধ্যমে ভালোভাবে দূর হয়।
এ পদ্ধতিতে প্রথমে অয়েল বেসড একটি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর ওয়াটার বেসড ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এতে মুখের মসৃণতা বজায় থাকবে।
রাইস ওয়াটার টোনার
ফেস টোনিং কোরিয়ান রূপচর্চায় অবশ্য পালনীয় একটি ধাপ। অনেক আগে থেকেই কোরিয়ানরা টোনার হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন শসা, টমেটো ও তরমুজের রস ব্যবহার করে আসছে।
তবে টোনার হিসেবে তারা রাইস বা ভেজানো চালের নিষ্কাষিত পানি প্রক্রিয়াজাত করে ব্যাবহার করেন। এই টোনার ত্বককে উজ্জ্বল ও টানটান করতে সাহায্য করে। এমনকি বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না।
সিরাম ও ময়েশরাইজার
রূপচর্চায় কোরিয়ানরা সিরাম ও ময়েশ্চারাইজারকে অনেক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। ভিটিমিন সি,স্নেইল মিউসিন, হায়ালোরনিক এসিডযুক্ত সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার তারা প্রতিদিনের রূপচর্চার তালিকায় রাখেন। যা ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
ট্যাপিং
ট্যাপিংকে গ্লাসস্কিন এর অন্যতম রহস্য বলে দাবি করেন কোরিয়ানরা। ট্যাপিং হলো এক ধরনের ফেসিয়াল রিলাক্সেশন পদ্ধতি। টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার বা ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত অন্য পন্য এমনভাবে ম্যাসাজের মাধ্যমে ত্বকে লাগানো হয় যাতে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং তারুণ্যও ধরে রাখা যায়।