সংগৃহীত ছবি
নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাছে দুটি এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের এয়ারক্রাফট বিক্রি করে দিয়েছে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার। আজ বৃহস্পতিবার এয়ারক্রাফট দুটি বুঝে পেয়েছে ইয়েতি এয়ারলাইন্স। এই দুই এয়ারক্রাফট বিক্রির পর নভোএয়ারের বহরে উড়োজাহাহের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ।
ফ্রান্স-ইতালির জয়েন্টভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান এটিআরের ৭২ মডেলের উড়োজাহাজগুলো স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে বেশ জনপ্রিয়।
জ্বালানিসাশ্রয়ী এসব উড়োজাহাজের যাত্রী ধারণক্ষমতা ৭৮ জন।
ইয়েতি এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, নভোএয়ার থেকে কেনা দুটি এয়ারক্রাফটের একটি ১৫ বছর ২ মাস (এটিআর ম্যানুফ্যাকচারার সিরিয়াল নম্বর এমএসএন-৮০৫) ও অপরটি ১৩ বছর ৭ মাস (এটিআর ম্যানুফ্যাকচারার সিরিয়াল নম্বর এমএসএন-৮১৬) ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। যদিও নভোএয়ার ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ রুটে ৩০ শতাংশ যাত্রী কমে যাওয়ায় আমাদের ৭টি এয়ারক্রাফটের প্রয়োজনীয়তা নেই।
তাই দুটি বিক্রি করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তিনটি এয়ারবাস সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এগুলো গত বছরের সেপ্টেম্বরেই বহরে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে আমরা কিছুটা সময় নিয়েছি।
তিনটির প্রথমটি আগামী চার মাসের মধ্যে বহরে যুক্ত হবে। বাকিগুলোও ধাপে ধাপে দেশে আসবে।’
সূত্র জানায়, ৮০৫ সিরিয়াল নম্বরের উড়োজাহাজ প্রথমে ভারতের কিংফিশার বিমান কম্পানি ব্যবহার করে। এরপর উরুগুয়ের একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৫ পর্যন্ত বিমানটি ব্যবহার করে। এমএসএন-৮১৬ সিরিয়ালের এয়ারক্রাফটটি প্রথমে কেনিয়া ও পরে উরুগুয়ের বিমান প্রতিষ্ঠানে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
২০১৬ থেকে এটি দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে নভোএয়ার।
নভোএয়ার সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে আকাশপথে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-যশোর রুটে যাত্রীর চাপ কমায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পাশাপাশি বর্তমানে তারা আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য তিনটি এয়ারবাস এ-৩২১ মডেলের উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।