ঢাকায় তিনদিনের পর্যটনমেলা শুরু

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে দেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা দ্বাদশ বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনদিনের এই মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করেছে দেশের পর্যটন শিল্পের বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

আয়োজকরা জানান, মেলায় দেশি-বিদেশি ৬০টির বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০টি স্টল ও ১৪টি প্যাভিলিয়নে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।

অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মেলা চলাকালে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দর্শনার্থীদের জন্য তাদের সেবা ও পণ্যের ওপর বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছে। দেশি ও বিদেশি গন্তব্যে এয়ার টিকিট, তারকা হোটেলগুলোতে রুম বুকিং, ভ্রমণ প্যাকেজ ইত্যাদিতেও মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেন, ‘শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।

আমরা কথায় কথায় বলি আমরা অতিথিপরায়ন জাতি। এটি শুধু বললেই হবে না, সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সেবার মান ও সেবার সংখ্যা বাড়াতে করতে হবে। শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।

দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প বিভিন্ন দেশের জিডিপি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে এবং উন্নয়নেও যাতে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। বর্তমান পৃথিবী প্রচারের পৃথিবী। সারা বিশ্বের পর্যটকদের জানাতে হবে আমাদের কি কি সুবিধা আছে, কিভাবে তারা আমাদের এখানে আসবেন, কি কি দেখবেন।

আমাদের এখানে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই। পর্যটক বৃদ্ধির জন্য  উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কেৌশলের মাধ্যমে আমাদের প্রচার বাড়াতে হবে।’

সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্পে সরকারের কাজ পলিসি তৈরি করা আর পর্যটন প্রসারে কাজ করে বেসরকারি খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পলিসি পর্যটন বান্ধব। আমরা দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবো। অন-অ্যারাইভাল ভিসাসহ তাদের আর কি কি সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তা স্টেকহোল্ডার সভার মাধ্যমে আলোচনা করে সদ্ধিান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শিবলুল আজম কোরাইশির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. মাহবুব আলম, বেসামরিক বিমান পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়নে মান চোং, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি প্রমুখ।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিনদিনের এই মেলায় ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের টু্যর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নিচ্ছে। মেলায় সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকছে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন।

LEAVE A REPLY