সংগৃহীত ছবি
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রেপ্তার করে জেলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে মামলার রায় কার্যকর বা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনের পর দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
এক সাংবাদিক আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ড. ইউনূসকে গ্রেপ্তারে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আবারো বলছি, সরকারের কোনো পরিকল্পনা নাই।’
তিনি বলেন, ‘যে মামলাগুলো চলছে, এনবিআর এর মামলা আছে কিছু, শ্রম আদালতে মামলা আছে, সেইগুলোর বিচার হবে। বিজ্ঞ বিচারকগণ রায় দিবেন। সে রায় কার্যকর করা অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব।
সরকার সেটা করবে। কিন্তু অহেতুক ড. ইউনূসকে গ্রেপ্তার করা বা জেলে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা সরকারের নাই।’
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে এ মামলা করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দণ্ডিতদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ২৮ জানুয়ারি তাঁদের জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেদিন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার নথি তলব করে আগামী ৩ মার্চ উপস্থাপনের তারিখ রাখেন শ্রম আপিল ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আউয়াল (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ)।
তবে রায় স্থগিতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রবিবার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। স্থগিতাদেশ চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যাতে বিদেশ যেতে না পারেন সে আবেদনও করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান সংস্থাটির আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।