দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় আটটি ট্রাকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে গতকাল শনিবার ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। সেদিন চারটি ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত আলু পোর্ট বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২১ টাকা কেজি দরে।
রবিবার হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার বড় জাতের দেশি কাটিলাল আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ২৫ টাকায় নেমে এসেছে। ছোট জাতের লাল পাটনা আলু গতকাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ সেটির দাম ২৫ টাকা কেজি। ছোট জাতের সাদা পাটনা আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি থেকে কমে ৩০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে আমদানীকৃত আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা কেজি দরে।
এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ১৯৭টি ট্রাকে করে পাঁচ হাজার ২০৬ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর থেকে আলু রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এর পর থেকেই বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫২ জন আমদানিকারক প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি মূল্য ১৫৫ মার্কিন ডলার খরচ পড়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থেকে আলুগুলো আমদানি করা হচ্ছে। আজকে তাঁরা পোর্ট বাজারে আমদানীকৃত আলু পাইকারি বিক্রি করেছেন ২০ থেকে ২১ টাকা কেজি দরে। তাঁর দাবি, সরকার শুল্কায়ন যদি প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তাঁরা আরো কম দামে আলু বিক্রি করতে পারবেন।