ভাই বানিয়ে তাঁর সঙ্গেই প্রেম, ইন্দ্রাণীর স্বীকারোক্তি

ইন্দ্রাণী হালদার

চলে এসেছে ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা মানুষের জীবনে সবচেয়ে সুন্দরতম অংশ। সাধারণ থেকে তারকা, সবার জীবনেই ভালোবাসার মানুষের জায়গা অপরিসীম। যৌবনে পা দিয়ে প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর! কেউ ভালোবাসায় নিজেকে সঁপে দিয়েছেন, সাক্ষী হয়েছেন অনন্তকালের।

কেউ বা একাধিক প্রেম করে ভালোবাসাকে করেছেন রঙিন। কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারও অবশ্য সে দলেরই একজন। জীবনে একাধিক প্রেমের কথা অকপটে স্বীকার করতেও দ্বিধা করেননি অভিনেত্রী। 

টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেমজীবনের এমনই গল্প শুনিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণী হালদার বলেন, ‘আমাকে সরাসরি এসে কেউ বলে না। যাকে পাত্তা দেওয়ার দিই, যাকে পাত্তা দেওয়ার নয়, সরাসরি ভাইফোঁটায় নিমন্ত্রণ করে দিই। এই অভ্যাসটা ছোটবেলা থেকেই। যাকে ছোটবেলায় ভাইফোঁটা দিয়েছি, তার সঙ্গেও পরে হাত ধরাধরি করে ঘুরেছি।

এমনও ঘটেছে। এসব ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ভাইফোঁটা দিয়ে ডান হাতে মুছে দিতাম।’

নিজের স্বামীর প্রসঙ্গে ইন্দ্রাণী হালদার বলেন, ‘আমার স্বামীরও নাকি অনেক বান্ধবী আছে, তিনি খুবই স্পোর্টিং। প্রেম ভেঙে গেলে স্বামীই এসে চোখের জল মুছে দেন।’

অভিনেত্রী এর আগেও একবার বলেছিলেন, তাঁর বাবাও ছিলেন মজার মানুষ।

তিনিও নাকি একবার মজা করে তাঁকে বলেছিলেন, ‘এত প্রেম করবি যে গুনতে গুনতে হাতের ও পায়ের আঙুল যেন শেষ হয়ে যায়।’

বর্তমানে স্বামী ভাস্কর রায়ের সঙ্গে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। তবে প্রথমে ১৯৯৩ সালে প্রযোজক অমরেন্দ্র ঘোষকে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রাণী। অল্প সময়েই তাঁর সেই বিয়ে ভেঙে যায়। পরে ভাস্কর রায়কে বিয়ে করেন তিনি। ভাস্কর রায় পেশায় একজন বিমানচালক। 

টেলিভিশনের হাত ধরেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার। ১৯৮৬ সালে জোছনা দস্তিদারের ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ‘দহন’-এ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পান ইন্দ্রাণী। এরপর টলিউডের সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। বহু বাংলা সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বর্তমানে টিভি নাটকেই নিয়মিত রয়েছেন অভিনেত্রী।

LEAVE A REPLY