২৫০ আসনের ফল প্রকাশ, এগিয়ে ইমরানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত অর্ধেক আসনের ফল ঘোষিত হয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন এবং তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।

বৃহস্পতিবার ২৬৫টি আসনের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন পাকিস্তানের নাগরিকেরা।

 বিশ্লেষকদের ধারণা এই নির্বাচনে এককভাবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এর আগে ভোটপর্ব শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায়। তারপর ভোটগণনার কাজ খুবই ঢিমে গতিতে এগিয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশ হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে।

সে জন্যই ভোট শেষ হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও খুব বেশি আসনের ফলাফল জানা যায়নি। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সামান্য কিছু আসনের ফলাফল জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। কখনো নওয়াজের দল এগোচ্ছে, কখনো পিপিপি, কখনো ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা এগিয়ে যাচ্ছেন।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পিএমএলএন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ আসনে ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন। পাকিস্তানে  কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হয় ১৩৪ আসন।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত, এর মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।

এদিকে পিটিআই নেতা ওমর আয়ুব খান অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন পরবর্তী কারচুপি হচ্ছে। তিনি রিটার্নিং অফিসারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন এই ধরনের কোনো কারচুপি না করেন। রাওয়ালপিণ্ডির পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বশারত রাজা বলেছেন, এখানে ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি আসলে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জিতেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো ভোটকেন্দ্রেই লিড পাননি। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লাহোরের একটি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। নওয়াজ শরীফও সামান্য ভোটে জিতেছেন বলে জিও টিভি জানিয়েছে। ইমরানের পিটিআই এবার দল হিসাবে লড়তে পারেনি। তবে তারা স্বতন্ত্র বা নির্দলদের সমর্থন করেছে। নির্দলরা ভোটে লড়েছেন। প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা নওয়াজ শরীফ ও ভুট্টোর দলকে রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলেছেন।

১০ ঘণ্টা বিলম্ব

ভোট শেষ হওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর প্রথম চারটি ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ভোট সেষ হয়েছিল বিকেল পাঁচটার সময়। প্রথম ফলাফল ঘোষণা করা হয় রাত তিনটের সময়। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, ফলপ্রকাশে এত দেরি হলো কেন?

ভোটগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইন্টারনেট সমস্যার জন্য ভোটগণনার ক্ষেত্রে এত দেরি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। আর পিটিআইসহ কয়েকটি দলের অভিযোগ, ভোট-পরবর্তী রিগিংয়ের জন্য এত দেরি করা হয়েছে।  শুক্রবার সকালেও ভোটের জয়পরাজয়ের ঘোষণা খুবই ধীরগতিতে আসছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে, জিও নিউজ, ডন

LEAVE A REPLY