ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফ উভয়ের বিজয় দাবি

ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কোনো রাজনৈতিক শক্তির স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবারের ভোটে জয়ের দাবি করছেন। কারণ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন।

তবে আরেক সাকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, তাঁর দল এখন সবচেয়ে বড় দল, তাকে এবং বাকিদেরও জোটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পার্টি এবং অন্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জোটের আলোচনা চলছে বলে ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে জয়ের দাবি, পাল্টা দাবি শুরু হয়ে গেছে দেশটিতে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘এআই’ দিয়ে বানানো এক ভিডিও বার্তায়  ইমরান বলেছেন, ‘জাতির অভূতপূর্ব লড়াইয়ের মাধ্যমে পিটিআই ভূমিধস বিজয় পেয়েছে। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে পিটিআই সমর্থকদের ব্যাপক জনসমর্থন দেখে সবাই হতবাক হয়েছে। এখন কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না। উদ্‌যাপন করুন এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।

’ 

সেখানে আরো বলা হয়, ‘দুই বছরের নিপীড়ন ও অবিচারের পরও আমরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে জিতেছি। আপনাদের ভোটের শক্তি সবাই দেখেছে, এখন আপনার ভোট রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকুন।’  

কারাগারে থাকা ইমরানের বক্তব্য তার সমর্থকদের কাছে পৌঁছে দিতে এর আগেও এআই দিয়ে বানানো ভিডিও বার্তার সহায়তা নিয়েছে পিটিআই। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমারান খানের ভেরিফায়েড পেইজে পোস্ট করা হয়। এই ভিডিও বার্তায় নওয়াজ শরিফকে ‘ছোটলোক’ বলে সমালোচনা করেন তিনি।

পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাদ দিলে এখন মোট আসন ২৬৬। কিন্তু এবার এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে।

সূত্র : বিবিসি

LEAVE A REPLY