মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ এনকেফালাইটিস

সংগৃহীত ছবি

এনসেফালাইটিস এমন একটি সংক্রমণকে বোঝায় যা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে, ইমিউন সিস্টেমকে ট্রিগার করে এবং সংক্রমণ ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এনকেফালাইটিস সবার প্রথমে মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করে। বিভিন্ন কারণে এই অসুখ হতে পারে। প্রধান কারণ ভাইরাল ইনফেকশন।

জাপানি এনসেফালাইটিস হলো মশার দ্বারা সংক্রমিত একটি প্রাণিজনিত রোগ। কিউলেক্স মশা এই রোগ ছড়ায়। এই রোগের ভাইরাসটির নাম হলো জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাস। প্রথমে জাপানে শনাক্ত হওয়ায় রোগটিকে জাপানি এনসেফালাইটিস বলে নামকরণ করা হয়।

এই রোগ তীব্র হলে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। অনেক সময় তাৎক্ষণিক মৃত্যু রোধ করা গেলেও আক্রান্ত শিশুর পরবর্তী জটিলতা দেখা যায়। যেমন, অন্ধত্ব, বধিরতা, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা, শরীরের কোনো অঙ্গ-উপাঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া—এমন নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিস কি?

যদিও খুবই কম হয়, হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিস হলো উচ্চ-মৃত্যু ও রোগব্যাধির কারণ, যা একটি স্নায়বিক অবস্থা।

এটি হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।

প্রাথমিক উপসর্গ

* মাথা ব্যথা

* জ্বর

* খিঁচুনি

* সাধারণ দুর্বলতার সঙ্গে ঝিমুনি

* বিভ্রান্তি

দেরিতেদেখাদেওয়াউপসর্গ

* কথাবার্তা বা লেখার মাধ্যমে ভাব প্রকাশে সমস্যা

* ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া

* স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া

* অতিসক্রিয়তা

* মানসিক ব্যাধি

অতিরিক্ত গুরুতর উপসর্গ

* স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে পরিবর্তন

* চেতনা হারানো

* হ্যালুসিনেশন বা অমূল প্রত্যক্ষ করা

* আংশিক পক্ষাঘাত

* রেটিনার প্রদাহ

প্রধান কারণ

হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিসের খুব সাধারণ কারণ হলো হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ ওয়ানের সংক্রমণ।

রোগনির্ণয়

* রক্ত পরীক্ষা

* সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা

* ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাম

* ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স ইমেজিং (এমআরআই)

* মস্তিষ্কের বায়োপসি 

চিকিৎসা

ডাক্তার প্রয়োজন অনুযায়ী ১৪ দিনের কোর্সের অ্যাসাইক্লোভির ট্যাবলেট দিতে পারেন।

অবস্থার গুরুত্বের ওপর নির্ভর করে ডাক্তার শিরায় অ্যাসাইক্লোভির প্রদান করতে পারেন। হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিসের সঙ্গে যুক্ত খিঁচুনির ক্ষেত্রে অ্যান্টিকনভালসেন্টসের প্রয়োজন হতে পারে।

এ ছাড়া হারপিস সিমপ্লেক্স এনসেফেলাইটিসের প্রাথমিক চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যবহারে সুস্থ হওয়ার উপকারিতা দেখা গেছে।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. সাইদুল হক

সহকারী অধ্যাপক

বারডেম বিইউএইচএস ইউনিভার্সিটি ঢাকা।

LEAVE A REPLY