ছবি: সংগৃহীত
খেজুর আমরা সাধারণত রমজানে বেশি খেয়ে থাকি। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রণ। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে থাকবে ভরপুর শক্তি। এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।
চলুন জেনে নিই খেজুরের কিছু পুষ্টিগুণ।
শক্তির উৎস
খেজুর হলো গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করায় পরিপূর্ণ, যার কারণে এটিকে শক্তির অন্যতম উৎস বলা হয়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশনের এক গবেষণা অনুযায়ী, খেজুর দেহে দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। তাই রোজা ভাঙার সময় খেজুর খেতে বলা হয়ে থাকে যেনো শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পাওয়া যায়।
মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক
খেজুর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও মস্তিষ্ক প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। এ ছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুরে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন ও ফেরুলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আলঝেইমার ও ডিমনেশিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে কিছুটা সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সহায়ক
একটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৭টি করে খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সাহায্য করে। এ ছাড়া, জার্নাল অফ নিউট্রিশন রিভিউতে প্রকাশিত এক পর্যালোচনা অনুযায়ী, ফাইবার গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য
জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে ওয়াসিম রক এবং তাঁর সহকর্মীদের গবেষণা অনুযায়ী, খেজুর ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে কার্যকরী এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। আবার ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড, নির্দিষ্ট মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যা রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস
খেজুরে বিদ্যমান ইমিউনোথেরাপি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস আক্রান্ত রোগীদের প্রদাহের সমস্যা কিছুটা কমাতে কার্যকর।
রাতকানা রোগ
হার্ট ভিউস জার্নালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেজুর হলো ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। এটি রাতকানা প্রতিরোধ করতে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কার্যকর।
সূত্র: অর্গানিক ফ্যাক্টস